বাথরুমে থাকবে নাকি গাছ! অনেকের কাছে একটু অদ্ভুত বিষয় মনে হলেও, ব্যাপারটা একেবারেই কিন্তু সেই রকম নয়।অনেকেই বাথরুমে বিভিন্ন রকমের গাছ রাখেন বাথরুমের সৌন্দর্য কিছুটা বাড়াতে। এতে তার বাথরুমের পরিবেশ সম্পূর্ণ সুন্দর তো হয়ই, সেই সঙ্গে বাথরুমের মধ্যে একটা স্বাভাবিক আর্দ্রতাও তৈরি হয়। বাথরুমের পরিবেশ সতেজ হয়। বাথরম যদি হয়ে ওঠে সুন্দর সুন্দর ছোট গাছেদের উপনিবেশ, তাহলে অতখানি বিরক্তিকর বলে মনে হবে না বাথরুমে কাটানো সময়টাও ! অনায়াসে ছোট ছোট গাছ রাখতে পারেন সে আপনার বাথরুমের জায়গা কম থাকলেও।
গোল্ডেন পোথোস
আপনি আপনার বাথরুমে সুন্দর দেখতে বাহারি এই গাছ রাখতে পারেন। আর্দ্র পরিবেশে খুব ভাল থাকে কম ব্যাসের , ঋজু এই গাছ। যদি দেখেন পাতা সবুজ থেকে ক্রমশঃ হলদে হয়ে যেতে তাহলে বুঝবেন আর্দ্রতা কমে গিয়েছে। এই গাছ কম আলো থেকে বেশি আলো সব জায়গাতেই সমান স্বচ্ছন্দ।
মিনি প্রিসার্ভড লিভিং ওয়াল
এরকম গাছ আপনি মাটিতে না রেখে আপনার বাথরুমের দেওয়ালে রাখতে পারেন অথবা কোনও কোনে রেখে দিলেন কোনও তাকের উপর । এতে কম লাগে জায়গাও। আবার সুন্দর লাগে বাথরুমের দেওয়ালও। এই গাছ এর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন পরে না দেখতে ভাল লাগলেও। ঘন সবুজ রঙের ছোট পাতার এই গাছ আপনি আপনার বাথরুমের যেকোনও দেওয়ালে ঝুলিয়েও রাতে পারেন।
স্নেক প্ল্যান্ট
সকলেরই মন ভোলায় স্নেক প্ল্যান্টের এই অভূতপূর্ব বাহারি সৌন্দর্য। তাই স্নেক প্ল্যান্ট কে বাথরুমে রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন। এই গাছ বাথরুমের ভেতরে আনে সতেজতা আর যে কোনও আর্দ্রতার পরিবেশ সহ্য করতে পারে। কম আলোর পরিবেশেও এরা সমান স্বচ্ছন্দ।
অ্যালোকেশিয়া
এই গাছ খুব বেশি আর্দ্রতায় ভাল থাকে। ভীষণ সুন্দর দেখতে ঘন সবুজ বড় বড় পাতাগুলো। এরা সমানভাবে সহ্য করতে পারে উজ্জ্বল ও কম আলো দুইই। তবে প্রতিদিন জল না দিলে চলবে না।