যে ধর্ম বা শাস্ত্রই হোক না কেন, সর্বত্রই বৃক্ষ রোপন একটি পবিত্র কাজ বলে গণ্য করা হয়। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে কোন কোন গাছ কোন কোন দেবতার বিশেষ প্রিয় বলে মনে করা হয়। সেই সমস্ত গাছ গৃহে নিয়ম অনুযায়ী লাগালে জীবনে আসে সুখ সমৃদ্ধি এবং কেটে যায় সমস্ত অনটন। তেমনি যদি আপনি আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যান তাহলে শাস্ত্র অনুযায়ী মা লক্ষ্মীর নিবাস আপনার গৃহে হওয়া একান্ত জরুরী। জেনে নিন এমনই একটি উপায়।
মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে সকল ভক্তের মধ্যে। কিন্তু মা লক্ষ্মী বড়ই চঞ্চলা। তাকে বেঁধে রাখা এত সহজ কাজ নয়। মা লক্ষ্মীর কৃপা পেতে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু জিনিস। পাশাপাশি এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে জ্যোতিষ অনুযায়ী এমন কিছু বিশেষ জিনিস আছে যেগুলি বাড়িতে থাকলে লক্ষ্মীর কৃপা বিরাজমান থাকে। যেমন এই গাছ। এই গাছ অগ্রহায়ণ এবং পৌষ মাসে বাড়িতে লাগালে মা লক্ষ্মী খুশি হন। তথ্য আনন্দবাজার পত্রিকার।
কি গাছ জানতে কৌতুহলী? জেনে নিন..
গাছটির নাম ধনে পাতা গাছ। শীতকালে বেশ ভালো ফলন হয় এই ধনে পাতার। আর জ্যোতিষ বলে অগ্রহায়ণ বা পৌষ মাসে যদি বাড়িতে লাগানো যায় কিছুটা ধনে পাতা গাছ তাহলে ফল মেলে হাতেনাতে। ধনে পাতা গাছ লাগলে গৃহের উন্নতি সাধন হয় বেশ দ্রুত। ধনে রান্নায় দেওয়া ছাড়া এই বীজটি হল ধন সম্পত্তির প্রতীক। কিন্তু লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে ধনে গাছ লাগানোর পরে যত্ন করতে হবে ধনে গাছগুলোর বৃদ্ধির জন্য। সেই সাথেই বাড়িতে শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে বলছে শাস্ত্র। ধনে গাছ যত বেশী বৃদ্ধি পাবে ততই বাড়ির আয় উন্নতি হবে।
জেনে নিন কিভাবে লাগাবেন ধনে গাছ!
ধনেপাতা গাছ লাগাতে কিছু শুকনো ধনের বীজ কিনতে হবে যেকোনো দশকর্মা ভান্ডার থেকে। বীজগুলো সংগ্রহ করে একটা পাত্রে নিয়ে একদিন পুরো সূর্যের রোদ খাবান। রোদে শুকালে ধনে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ে। তারপর বীজগুলো কোনো বাটিতে জল নিয়ে সেই জলে একরাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেই ভেজা ধনে বীজ তুলে নিয়ে ছড়ান মাটির উপরে। টব বা গামলার ব্যবহার করতে পারেন। অবশেষে, সেই টব বা গামলাটা নিয়ে আলো বাতাস আছে এমন জায়গায় যেমন জানলার পাশে বা ব্যালকনি ইত্যাদী জায়গায় রাখুন। কড়া রোদ কিন্তু ধনেগাছের বৃদ্ধি প্রতিহত করে সেই খেয়াল রাখবেন।