মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো বিশ্ব। উড্ডয়নের সময় একটি বিমানে ত্রুটি দেখা দেয়। এর পরে, পাইলট হয় বিমান থেকে প্যারাশুট ছাড়াই লাফ দেন বা প্রায় ৪০০০ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে যান। এবং বলাই বাহুল্য তিনি মারা যান। আশ্চর্যজনকভাবে, এই বিমানে থাকা কো-পাইলট পরে বিমানটির জরুরি অবতরণ করেন এবং তিনি খুবই সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনা থেকে দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান চালানোর পর ২৩ বছর বয়সী পাইলট চার্লস হিউ ক্রুকসের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তিনি একটি ছোট বিমান নিয়ে উড়ছিলেন। যেখানে ১০ জন বসতে পারবেন। কিন্তু উড়ানের সময় সেই বিমানে কোনো যাত্রী ছিল না। চার্লসের সাথে একজন কো-পাইলট ছিলেন।
জানা গিয়েছে ফ্লাইটের সময় ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়। তারপরই বিমান থেকে নিচে পড়ে যান পাইলট। এরপর অবশ্য কো-পাইলট বিমানটিকে স্থানীয় বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান। কো-পাইলটকে পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
যেখানে কো পাইলটের কিছুই হয়নি সেখানে চার্লসের মৃত্যু রহস্য আরো গভীর হচ্ছে। আসলে, বিকট শব্দ শুনে এক ব্যক্তি পুলিশকে ফোন করেন। সেখানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চার্লসের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হয়তো প্লেন থেকে পড়ে গেছেন অথবা প্লেনের ত্রুটি ঠিক করতে গিয়ে লাফ দিয়েছেন। তবে তিনি প্যারাসুট পরেননি।
এই ঘটনার কারণে ভেঙে পড়েছেন চার্লসের বাবা হিউ ক্রুকস। তিনি বলেছিলেন যে চার্লস সম্প্রতি তাকে বলেছিলেন যে তিনি তার কাজ নিয়ে খুব খুশি। হিউ বলেছিলেন যে ছেলের এভাবে মৃত্যু তার কাছেও একটি রহস্য। চার্লসের বাবা জানান যে ছেলে কলেজে পড়ার সময়ই পাইলটের লাইসেন্স পেয়েছিল। তিনি একজন ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টর ছিলেন, যে কোনো অবস্থায় উড়তে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার বিষয়ে, ওয়েক কাউন্টি ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের অপারেশন ম্যানেজার দর্শন প্যাটেল বলেন, চার্লস প্লেন থেকে লাফ দিয়েছেন নাকি বিমান থেকে পড়ে গেছেন তা তিনি জানেন না। হয়তো বিপদ দেখে তিনি নিজেকে ইজেক্ট করেছিলেন। ফ্লাইট ম্যাপ অনুযায়ী, ঘটনার সময় বিমানটি ৩,৮৫০ ফুট উচ্চতায় ছিল।