Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

মহালয়ায় যোগদান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন বহু মানুষ! স্বজনহারার হাহাকার বামনহাটে

এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল মহালয়ার দিন । বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে ৭০-৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকো ডুবে গেল। ওই নৌকাডুবিতে শিশু-সহ অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩০ জন নিখোঁজ। সূত্রের মতে , বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট এলাকার আউলিয়া ঘাটের কাছে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে ৮ জন শিশু, ১২ জন মহিলা। এই মৃতদের ৪ জন পুরুষ। দুর্ঘটনার স্থল থেকে ১৬ জনকে মৃত অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয়। বোদা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাকি বেশ অনেকজন কেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে এরপর আরও মৃত্যু হয় আটজনের।

সূত্রের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী , এদিন এক বিশাল ধর্মসভার আয়োজন করা হয়েছিল দুর্গাপুজোর মহালয়া উপলক্ষে, বড়শশী এলাকার বদেশ্বরী মন্দিরে। সেখানে পৌঁছানোর জন্য মাড়েয়া বাজার এলাকার আউলিয়া ঘাটে প্রচন্ড জমায়েত হয়েছিল। বাংলাদেশ পুলিশ এব্যাপারে জানিয়েছেন যে , একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকোয় ৭০-৮০ জন যাত্রা করছিলেন। নৌকোটি বড়শশী ঘাটের উদ্দেশ্যে ধারণ ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিল। শনিবার রাতে তার উপর ওই এলাকায় তীব্র বৃষ্টি হওয়ায়, নদীতে জলের স্তরও বেশি ছিল।

ওই নৌকাটির শুরু থেকেই ভারসাম্যের সমস্যা হয়েছিল। নৌকোটি বিপজ্জনকভাবে ঘাট থেকে কিছুটা এগোনোর পরই দুলতে শুরু করেছিল। নৌকা উল্টাতে পারে ভেবে মাঝি নৌকা ঘুরিয়ে ঘাটে আসার চেষ্টাই করেছিলেন। কিন্তু সেখানে নৌকাটি ডুবে যায়। সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই। যদিও অধিকাংশ যাত্রীই ডুবে যান। তৎপরতার সাথে খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। উদ্ধারকাজে স্থানীয়রাও হাত লাগান। তবে এখনও পর্যন্ত অনেকেরই খোঁজ মেলেনি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের ভর্তি করা হয়েছে।এদিকে নৌকাডুবির কথা চাউর হতেই, করতোয়া নদীর পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন হতাহতদের পরিবার। স্বজন হারানোর আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। এলাকার পরিবেশ মহালয়ার দিনে ভারাক্রান্ত হয়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় উদ্ধারকাজের সঙ্গে সঙ্গে দেহ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়াও চলছে। নিহতদের আত্মীয়দের হাতে তাঁদের প্রিয়জনদের দেহ তুলে দেওয়া হবে শনাক্তকরণের কাজ শেষ হলেই। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে এক্স-গ্রাসিয়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা আহতদের পরিবারকে দেওয়া হবে।

Related posts

ভারতের একমাত্র এই ১০৮ শিব মন্দিরেই রয়েছে সাদা ও কালো শিবলিঙ্গের সমাহার! জানেন কালনার ইতিবৃত্ত

News Desk

লিপস্টিক ঠোঁটে থাকে না! মেনে চলুন এই পদ্ধতি

News Desk

জীবন বাঁচাতে বানানো হল সিমেন্টের পাঁজর, জটিল অপারেশনের নজির কলকাতার চিকিৎসকদের

News Desk