কোটি কোটি টাকার শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মূল পান্ডা হিসাবে যার নাম জড়িয়েছে সেই বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি রবিবার দাবি করেছেন যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযানের সময় উদ্ধার করা অর্থ তার নয়। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত তা সময়ই বলে দেবে। এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। জোকার ইএসআই হসপিটালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরে যখন তিনি একটি গাড়ি থেকে নেমেছিলেন এবং সাংবাদিকরা কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য তার কাছে গেলেন, পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, “টাকা (অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা) আমার নয়।”
তাহলে কার? এই বিষয়ে তিনি বলেন, সময় হলেই জানা যাবে। পার্থ চ্যাটার্জি শুক্রবার বলেছিলেন যে তিনি একটি ষড়যন্ত্রের শিকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন “এই সিদ্ধান্ত (আমাকে বরখাস্ত করার) একটি নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে,”। এরপরে অবশ্য একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এবং রীতিমত তৃণমূলে সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে বিবেচিত পার্থ চ্যাটার্জি তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বলেছিলেন, “তাঁর (মমতা ব্যানার্জীর) সিদ্ধান্ত সঠিক।
তৃণমূল থেকে বহিষ্কার:
৬৯ বছর বয়সী পার্থ চ্যাটার্জিকে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী হিসাবে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল এবং বৃহস্পতিবার তাকে তৃণমূল দল থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাকে দলীয় সব পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও শহরের কিছু অংশে তাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করার পরে ইডি গ্রেপ্তার করেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব তার মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বলেছিল যে পার্থ চ্যাটার্জি নিজেই তার নিজের ভাগ্যের জন্য দায়ী। এমন পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর এমন বয়ান যে এই টাকা তার নয় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।