দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। দেবী দুর্গা আসছেন মর্ত্যধামে। উৎসবের আলোয় ভেসে যাচ্ছে গোটা বাংলা। আর সেই আনন্দের দিনেই এল মন খারাপ করা খবর। নদিয়ার শান্তিপুরে উদ্ধার এক যুবকের পচা গলা দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের ফুলিয়ার মাঠপাড়ার ওই বাড়িতে মৃত সন্তানের দেহ আগলে বসেছিলেন বৃদ্ধ বাবা ও মা। মৃতের নাম সুমন বসাক। এদিন পুলিশ ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির পচাগলা দেহ ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের লোকজন বিশেষ কারোর সঙ্গে মিশতেন না। এদিকে সুমনের মানসিক কিছু সমস্যা ছিল। তবে এদিন তাদের বাড়ির সামনে পচা দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এরপরই সন্দেহ হওয়াতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দরজা খুলে দেখেন বাড়িতে রয়েছে সুমনের দেহ। বৃদ্ধ বাবা মা কার্যত ভাবলেশহীন অবস্থাতেই রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাঁরাও কতটা মানসিকভাবে সুস্থ তা নিয়েও প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে রোগে ভুগে সুমনের মৃত্যু হয়েছে নাকি ওই মৃত্যুর পেছনে কোনও রহস্য রয়েছে? পুলিশ ইতিমধ্যেই এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা রোগে ভুগেই মৃত্যু হয়েছে সুমনের। কিন্তু গোটা বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে বাড়িতেই সন্তানের দেহ রেখে দিয়েছিলেন বৃদ্ধ বাবা ও মা। কার্যত রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার নদিয়াতেও। তবে কবে সুমনের মৃত্য়ু হয়েছে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। বাসিন্দারা বলেন, হঠাৎ করেই দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তা থেকেই সন্দেহ হয়।