বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ দম্পতিই চাকরি করছেন। কাজের কারণে তাদের সন্তানদের বাড়িতে রেখে আসতে হয়। আগে যৌথ পরিবার ছিল। তখন শিশুর যত্ন করা অনেক সহজ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষের জীবনধারা পাল্টে গেছে এবং এখন বেশিরভাগ পরিবারই নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ দম্পতিরা শুধুমাত্র তাদের সন্তানদের নিয়েই থাকেন। এমতাবস্থায় কর্মজীবী দম্পতিদের কাছে একমাত্র আয়াই আশার শেষ উপায়। তারা বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে বাচ্চাদের দেখাশোনা করে। যদিও একটি শিশুর জন্য অ্যা রাখা কোনো সহজ কাজ নয়।
কর্মজীবী দম্পতিদের প্রয়োজনের কারণে বাজারে আয়াদের ভিড়। বাবা-মা চলে যাওয়ার পরে, তারা তাদের সন্তানদের যত্ন নেয়। কিন্তু বাবা মার হৃদয়ের টুকরো অন্য কারো কাছে ছেড়ে যাওয়াও কম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ নয়। সামান্য ভুলের খেসারতও বাবা-মায়ের পাশাপাশি সন্তানকেও ভোগ করতে হয়। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে এক মহিলার সাথে যিনি তার সন্তানকে আয়ার ভরসায় রেখে চলে যেতেন, কিন্তু যখন একদিন তিনি ফিরে আসেন, তখন তিনি তার সন্তানের এক হাতে আঘাত দেখতে পান।
এই মা তার কাজে যাওয়ার পর সন্তানের দেখাশোনার জন্য একজন আয়া ঠিক করেছিলেন। কিন্তু মহিলাটি লক্ষ্য করেন যে তিনি যখন ফিরে আসেন, তখন তার শিশুটি খুব ভীত থাকতো। কারণটা তিনি বুঝতে পারলেন না। এমতাবস্থায় আয়াকে না জানিয়ে বাড়িতে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে দেন তিনি। এরপর যা দেখলেন, তার হুঁশ উড়ে গেল। বাবা-মা চলে গেলেই আয়ার চেহারা বদলে যেত। শিশুটিকে নির্দয়ভাবে মারতে থাকতো।
মহিলাটি লক্ষ্য করেছিলেন যে তার চলে যাওয়ার পরে, আয়া শিশুটির সাথে কঠোরভাবে আচরণ করতেন। এরপর তিনি শিশুটিকে স্নান করাতে গেলেও একই রকম ব্যবহার করতেন। কাপড় খোলার সময় শিশুটি কাঁদতে শুরু করলে প্রথমে আয়া তার গালে চড় মারেন। এর পর হাত ধরে মুচড়ে দেন। শুধু তাই নয়, খাওয়ানোর সময় শিশুটিকে মারতেও দেখা গেছে আয়াকে। এই সমস্ত ঘটনা দেখার সাথে সাথেই তার হুঁশ উড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পাশাপাশি সে বিষয়টি পুলিশকেও জানায়। তদন্তে জানা যায়, আয়া একজন মানসিক রোগী। এমতাবস্থায় এই মা জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সন্তানকে আয়ার ভরসায় রেখে যাওয়ার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন। তারপর সন্তানকে অপরিচিতের ভরসায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববেন।