পাকিস্তানি এক দম্পতির প্রেমের গল্প সম্প্রতি ভাইরাল। আসলে, একজন ৩৮ বছর বয়সী মহিলা এবং ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ তাদের প্রেমের গল্প সকলের সাথে শেয়ার করেছেন। এই দম্পতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে তাদের প্রেমের গল্প বর্ণনা করেছেন।
ওই ভিডিও থেকে জানা যায় এই দম্পতি ৯ বছর ধরে বিবাহিত। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি রেলওয়েতে চাকরি করতেন। প্রথম স্ত্রী হার্টের রোগী ছিলেন, তিনি হঠাৎ মারা যান।
প্রথম বিয়ে থেকে তার তিন মেয়ে ছিল। রেলে চাকরির কারণে প্রায়ই বাইরে থাকতেন। লোকসান হতো বলে চাকরি ছাড়তে পারিনি। এ সময় তার মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল কিভাবে তিনি তার মেয়েদের মানুষ করবেন?
এসময় তিনি এক নারীর কথা জানতে পারেন যাকে তার স্বামী পরিত্যক্ত করে রেখেছিলেন। তখন মহিলার বয়স ছিল ৩৮ বছর। এবং তখন তার নিজেরই ৫৫ বছর বয়স ছিল। দুজনেই তাই বিয়ে করেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বেগম বলছেন, ‘প্রথম স্বামী যখন তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিল, তখন তার সব আশা ভেঙ্গে যায়। ভেবেছিলাম কখনো বিয়ে করবো না, যদি করি তাহলে বুড়ো লোকের সাথেই করবো। ওই নারী জানান, তার দ্বিতীয় স্বামীর ব্যাবহার খুবই ভালো। মহিলাটি জানিয়েছেন যে যার সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়েছিল সে তার খুড়তুতো ভাইও ছিল।
বৃদ্ধকে বিয়ে করা নারী জানান, তার স্বামীর আগের পক্ষের তিনটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের শুরুতে কিছুটা অসুবিধা হলেও এখন তাদের সম্পর্ক খুব ভালো চলছে। এখন মনে হচ্ছে আমি যদি তাকে আগে বিয়ে করতে পারতাম।
মহিলা বলেন, ‘স্বামীর আগের মেয়েরা বয়সে বড় হওয়ায় তাদের মেনে নিচ্ছিল না। আজ আমি ৩৮ বছর বয়সী এবং তাদের বড় মেয়ের বয়স ২৫ বছর।
লোকটি তার স্ত্রীর খুব প্রশংসা করল। বলেছে- একবার ওরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তখন ওদের দায়িত্ত্ব নেয় বেগম। যদি তিনি সেখানে না থাকতেন তবে সেই সময় তার ৩ কন্যা ছিল এবং তাদের যত্ন নেওয়ার মতো কেউ ছিল না।
লোকে জিজ্ঞেস করে, ইনি কি শ্বশুর? মাঝে মাঝে মানুষের কটূক্তিও শুনতে হয় এই দম্পতিকে। ওই নারী বলেন, কিছু লোক তার স্বামীকে ‘বাবা’ মনে করেন। তবে, তিনি সকলকে বলেছেন যে সাবধান, কেউ তার স্বামী সম্পর্কে বাজে কথা বললে তিনি মেনে নেবেন না। একবার এই দম্পতি হজে গিয়েছিলেন, তখন লোকেরা ওই ব্যক্তিকে মহিলার শ্বশুর বলে ধরে নিয়েছিল।