আপনি চাইলে ১৫০ বছর বেঁচে থাকতে পারবেন! যদি না বিরাট অসুখ বা কোনও দূর্ঘটনা ঘাড়ে চেপে বসে। আপনার নাতি ঘরে পুতি বা তার ঘরেও পারলে নাতি দেখার সৌভাগ্য হতে পারে। বের হল আমেরিকার সাহিত্যিক মার্ক টোয়েনের গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কত লম্বা হতে পারে মানুষের আয়ু সর্বোচ্চ এবং ঠিক ঠিক কী কী করতে হবে একদল বিজ্ঞানী তার জন্য তা জানার চেষ্টায় মেতেছিলেন।
১২০-১৫০ বছর পর্যন্ত আয়ু থাকতে পারে মানুষের, ‘নেচার কমিউনিকেশন’ নামক এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে। একটি জৈবিক প্রক্রিয়া হল মৃত্যু। আপনার মানসিক চাপ বা আপনি শরীরের ওপর কতটা অত্যাচার করলেন তাঁর নির্ভরশীল নয় ওপর! কতদিন বাঁচতে পারেন আপনি তা আমার আপনার শরীরের ডায়নামিক অর্গ্যানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের স্কোর জানিয়ে
দেবে। আর সেঞ্চুরি হাঁকালে সেই স্কোরে আপনার দীর্ঘ জীবনে জার্নি করার সুযোগ মিলবে।
যখন বার্ধক্য আসে, শরীরে নানারকম পরিবর্তন আসে তখন। একাধিক রক্তকোষে বদল আসে। এই গবেষণায় দৃষ্টিনিক্ষেপ করা হয়েছে মানুষের হাঁটাচলা থেকে যাবতীয় সবকিছুতে। মূলত সমীক্ষা চলেছে, ব্রিটেন, আমেরিকা ও রাশিয়ার অনেক মানুষকে নিয়ে।
সম্প্রতি সর্বাধিক বয়স মাপার জন্য বিশেষ কিছু ইন্ডিকেটর্স তৈরি করেছে সিঙ্গাপুরের একদল বৈজ্ঞানিক। যার ডায়নামিক অর্গ্যানিজম স্টেট ইন্ডিকেটর নাম দেওয়া হয়েছে। এটা থেকে মানুষ কত বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে তা জানা যায়, ! বিশেষ ধরনের রক্ত পরীক্ষা তার জন্য করতে হবে।
সেই পরীক্ষায় হিসেব করা হয় রক্তে উপস্থিত শ্বেত কণিকা, লোহিত কণিকা এবং প্লেটলেট বা অনুচক্রিকা-র। বয়স বাড়া মানে শরীর বিদ্যায় বলা যায় ক্রমশ কমতে থাকে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
স্কোর যত কম হবে ডায়নামিক অর্গ্যানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের, তত কম বয়স পর্যন্ত বাঁচবেন ব্যক্তি নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুয়ায়ী। এই স্কোরের ভিত্তিতে সাধারণ রোগের উপর শরীর কেমন কাজ করতে পারে তা জানা যেতে পারে। যদি সঠিক রাখা যায় এই স্কোর রেট, তাহলেই আপনি ১৫০ বছর বাঁচবেন। এখন তার জন্য দীর্ঘ গবেষণা এখনও চলছে যে এটা কীভাবে সম্ভব হতে পারে।