বারাবাঙ্কির রামসনেহিঘাট থানা এলাকার গ্রামপ্রধানের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান পরিণত হল এক শোকের অনুষ্ঠানে। যেখানে সামান্য কারণ ঘিরে বিবাদ এমন চরম আকার নেয় যে পরিণতি হয় মর্মান্তিক। জানা গিয়েছে গ্রামপ্রধানের মেয়ের বিয়েকে ঘিরে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চে নাচ করাকে কেন্দ্র করে কনেপক্ষ ও বরপক্ষের লোকজন একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি, লাঠালাঠি হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক বরযাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও এই সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বহু মানুষ আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠি চার্জ করলে জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে ওই যুবককে হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে গ্রাম প্রধানের মেয়ে রেনুর শনিবার বিয়ে ছিল। সফদরগঞ্জ থানা এলাকার সাদেওয়া মাজরে তুরকানির বাসিন্দা পরশুরামের ছেলে ধর্মরাজের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের সময় চলছিল বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। যেটিতে প্রথম বরযাত্রীরা মঞ্চে নাচছিলেন। এর বিরোধিতা করে তাদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়ে কনে পক্ষের কেউ কেউ স্টেজে উঠে নাচতে শুরু করে। এতে বরযাত্রীর সাথে আসা সুনীল চৌহান (৩৫) নামক এক ব্যক্তি মেয়ে পক্ষের লোকজনের কাছে অভিযোগ করতে যাচ্ছিল। এসময় পথিমধ্যে তাকে থামিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের অনেকেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অজয় প্রকাশ ত্রিপাঠি এবং রঘুবীর সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছন। হট্টগোল বাড়তে দেখে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ অজয় ত্রিপাঠী জানান যে সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পরে, নারায়ণপুরের বাসিন্দা উত্তম সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।