একধাক্কায় বহুগুণে বাড়ল দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩,৭৫০ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। গত তিন মাসের সাপেক্ষে এটি রেকর্ডসংখ্যক। সোমবার সকালে এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Heath Ministry)। ভারতের কোভিড-১৯ ডাটা অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ৩রা জানুয়ারি, ২০২২ এই ভারতের দৈনিক কোভিড-১৯ সংক্রমণ সর্বোচ্চ মাত্রা ছুঁল। রবিবার সকালে অর্থাৎ ২রা জানুয়ারি ভারতের নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭,৫৩৩। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ২২ শতাংশ বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রণের সংখ্যা (India’s Daily COVID-19 Cases)।
অন্যদিকে, দেশে করোনাভাইরাসের আগের নানা প্রজাতি যেমন ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ যেমন বেড়েছে, তেমনই গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল নতুন করে ওমিক্রনের সংক্রমণ। করোনার নতুন আবিষ্কৃত এই স্ট্রেইন, ওমিক্রন (Omicron Variant) সংক্রমণের সংখ্যা ভারতে বাড়ছে দ্রুত হারে। ইতিমধ্যেই তা পৌঁছেছে ১,৭০০-তে। আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে ভারতে এতদিন আধিপত্য দেখানো ডেল্টা(Delta) ভ্যারিয়েন্টকে ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছে নতুন স্ট্রেন ওমিক্রণ। সূত্র অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আগত যতজনের শরীরে করোনাভাইরাস এর হদিস মিলছে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই আক্রান্ত নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনে। এখনও অবধি ভারতের ২৩টি রাজ্যে ছড়িয়েছে এই নয়া প্রজাতি। সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) থেকে, ৫১০টি। তারপরই রয়েছে দিল্লি (Delhi)। যেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৫১। যদিও শনাক্ত হওয়া সংক্রমিত ব্যাক্তিদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের মৃদু উপসর্গ পাওয়া গেছে। বাকিদের মধ্যে কোন উপসর্গ দেখা দেয় নি।
তবে আশার কথা, গতকালের তুলনায় এদিন অনেকটাই কমেছে করোনা এর কারণে প্রাণহানি। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার করাল থাবায় মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। একদিন আগে রবিবারই মৃতের সংখ্যা ছিল ২৮৪। মহামারির শুরু থেকে এই যাবৎ করোনায় ভারতে মোট মৃত্যু হল ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৩ জনের। দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৩৮ শতাংশে দাড়িয়ে।
করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিয়মিতভাবে বৈঠক করছেন বলে খবর। ওমিক্রন সংক্রমনের কি অবস্থা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কতোটা প্রস্তুত ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ দল এবং সিনিয়র আধিকারিকদের দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করছেন। তিনি ওষুধের দরকারী স্টক , ভেন্টিলেটর ব্যাবস্থা এবং অক্সিজেন কতোটা মজুত ইত্যাদি আপডেটও নেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি রুম 24×7 কাজ করছে এবং সমস্ত ব্যাবস্থা এর পাশাপাশি দেশব্যাপী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।