এই দুশ্চিন্তা প্রথম থেকেই ছিল। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু একই সংকেত দিলো। বিশেষজ্ঞদের মতে টিকার কার্যকারিতা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে ওমিক্রন, কারণ এই ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক ডেল্টার তুলনায়। এখনও পর্যন্ত যে খবর পাওয়া গেছে ,এই ওমিক্রন টিকাকে ফাঁকি দিয়ে জনবহুল জায়গায় বা জনগোষ্ঠী সম্পন্ন জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে যায়। তবে এটাও দেখতে হবে যে টিকাকে এই ওমিক্রন কতটা ফাঁকি দিতে পারছে। ওমিক্রন এর সূচনা দেশ দক্ষিণ আফ্রিকাতে ওমিক্রনে আক্রান্ত অনেকেই কিন্তু টিকাপ্রাপ্ত ছিলেন। অর্থাৎ হুয়ের কথাই সত্যি যে ওমিক্রন টিকাকে ফাঁকি দিতে পারছে।
তবে কি তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে ওমিক্রনের হাত ধরে? তবে কি গণটিকাকরণ কর্মসূচি জলে গেল? এখনই এতটা হতাশ হতে ভাইরোলজিস্টরা রাজি নন। বরং আশার আলো দেখছেন তাঁরা। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, ওমিক্রনকে (Omicron) ঠেকাতে দেহে টি-লিম্ফোসাইট মেমোরি কোষ মজুত রয়েছে অ্যান্টিবডির সুরক্ষা ছাড়াও। তাই এতটা উদ্বিগ্ন হওয়ার এখনই কিছু নেই। আশার কথা, জনগোষ্ঠীতে প্রভাবশালী হতে গিয়ে সংক্রমণ বাড়িয়ে আক্রমণের ধার ভোঁতা হবে ও করোনা ক্রমশ নির্জীব হয়ে পড়বে।
ভাইরোলজিস্টদের অনেকের দাবি, করোনা অতিমারীর বিদায় ঘণ্টা বাজতে চলেছে ওমিক্রনের হাত ধরেই। ‘হু’ পুরনো কথাই ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছে ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়েও। জানিয়েছে, খুব একটা মারাত্মক উপসর্গ দেখা যায়নি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে, ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বের ৬৩টি দেশে থাবা বসিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) এবং ব্রিটেনে ভীষণ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে দেখা গিয়েছে। ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ ভারতেও বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা এখনও ৩৮ যা শুরুর থেকে একটু বেশিই।
সাধারণ নাগরিককে সচেতন থাকার কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের রিজিওনাল ডিরেক্টর ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল দেশে পরপর ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়। পুনম এদিন বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি ও ‘অতি সংক্রামক’ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আলোচনায় বলেন, “ এখনও রয়েছে অতিমারী। করোনা নিয়ে বিপদ এখনও কাটেনি নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, তা বলাই চলে। আমাদের অনুসরণ করতেই হবে কড়া নজরদারি, জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক দূরত্বের মতো করোনাবিধিগুলি। টিকাকরণের হারও একই সঙ্গে দ্রুত বাড়াতে হবে।”