করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে একের পর এক দেশে। তার উপর গতকাল আবার গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে দুজন ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। আরো এক নতুন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ রবিবার পাওয়া গেলো। ভারতবর্ষে ওমিক্রন আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫ । করোনার এই নতুন প্রজাতি নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল এবং তারা বলছেন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য ভারতের তৈরি থাকা উচিত। আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল দীর্ঘদিন মহামারী নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি জানালেন, হয়তো রেহাই পাবে না দেশ করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে। দেশে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে আগামী বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে।
রাজ্য তথা দেশ করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেড়ে তোলপাড় হয়েছিল। সকলেই নানা রকম কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে যেমন হাসপাতালে বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাব, শয় শয় লোকের মৃত্যু। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন অনেকে দীর্ঘদিন ধরে করোনা জন্য ব্যবসা বন্ধ থাকায়। এরপর কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিল এদেশের মানুষ, তৃতীয় ঢেউ না আসায়। কিন্তু, এবার মনে হচ্ছে সেই সুখের দিন শেষ হতে চলেছে। ওমিক্রন (Omicron)ইতিমধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে ৩৮টি দেশে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, যা বৈশিষ্ট্য আছে এই ভাইরাসের, তাতে এটা তৃতীয় ঢেউ আনতে পারে ভারতে। তবে একেবারেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এর প্রভাব হবে না। কিন্তু অত্যন্ত ভালো ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
কেন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য তৈরি থাকা প্রয়োজন ?
হায়দরাবাদ এইমসের কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর ডা বিকাশ ভটিয়া সংবাদসংস্থার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেন,’ এই মুহূর্তে দু-একটা ওমিক্রন রোগীর হদিস পাওয়া যাচ্ছে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে। তবে আরও সময় নিচ্ছি আমরা। এর মধ্যেই তৈরি থাকতে হবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য। তবে যদি প্রমাণ হয়ে যায় কিছুদিনের মধ্যে যে ওমিক্রন ততটা সংক্রামক নয় তাহলে ঠিক আছে। যদি সংক্রমণের গতি বেশি ও মারণ ক্ষমতা কম হয় ওমিক্রনের তাহলে সময় পাওয়া যাবে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিরও। ডা ভাটিয়া আরও বলেন, রোগীর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা যদি কমে যায় ওমিক্রনের জন্য তাহলে তা উদ্বেগের। তবে দেশজুড়ে যেহেতু ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ তাই খুব বেশি সমস্যা হবে না।