কিং কোবরা নিয়ে নাচছিলেন এক বৃদ্ধ, তাও আবার এমনি না গলায় ঝুলিয়ে, সেই কিং কোবরাই ছোবল মারলো আর মৃত্যু হল অসমের কাছাড় এলাকার ওই বৃদ্ধ বাসিন্দার। রঘুনন্দন ভুমিজ সাপের ছোবলে মৃতের নাম। রঘুনন্দন ভূমিজ নামের এই ব্যক্তির বয়স ৬০উর্দ্ধ, তিনি গলায় একটি সাপ গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সাপটি তার এই ঘুরে বেড়ানোর সময়ই ছোবল মারেন। সূত্র থেকে যা খবর পাওয়া গেছে তা থেকে জানা গিয়েছে, গ্রামের মধ্যে নেচে বেড়াচ্ছিল রঘুনন্দন ওই সাপটি গলায় ঝুলিয়ে। বেশ অনেক গুলো দিন আগে ঘটলেও ফের নতুন করে ভিডিয়োটি ভাইরাল।
জানা গিয়েছে, ওই কিং কোবরা বা শঙ্খচূড় সাপটিকে একটি ধানের জমিতে দেখা যায়। সাপটিকে ধরে তাকে নিয়ে খেলতে শুরু করেন রঘুনন্দন, সেটা দেখার পরেই। গ্রামে ঘুরেও বেড়ান তিনি ওই সাপটিকে গলায় ঝুলিয়ে। গ্রামের অনেকেই সেই সময়ে মোবাইলে তার ছবি এবং ভিডিয়ো করতে শুরু করে। সাপটি নিয়ে নাচতে শুরু করেন তিনি ছবি তোলা হচ্ছে বুঝতে পেরে। রঘুনন্দন সাপের মাথায় চাপ দেন সাপটি মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করলেও। সেই সময়েই ছোবল মারে রঘুনন্দনকে ওই বিষাক্ত সাপটি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মারা যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রঘুনন্দন সাপটিকে মুখের কাছে চেপে ধরেছিলেন। বার বার সাপটিকে খোঁচা মারছিলেন তিনি গ্রামবাসীদের দেখাতে। কিন্তু ঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিল সরীসৃপটি। রঘুনন্দনকে ছোবল মারে কিং কোবরাটি সুযোগ পেয়েই। শিলচর মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে নিয়ে গেলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। সাপের বিষে রঘুনন্দন মারা যান।
তবে, গ্রামের অনেকেই দাবি করেন, যে কোনও ভালো ওঝা তাকে বাঁচিয়ে তুলতে পারত বলে তারা বিশ্বাস করেন। তারা বলেন, ‘ কিন্তু আমরা পরদিন রঘুনন্দনের দেহ সৎকার করি কোনও ওঝার সন্ধান না পেয়ে।’
সাপটি কিং কোবরাই ছিল, কাছার জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক সে কথা জানিয়েছেন। ডিএফও বলেছেন, ‘ ধানখেতে থাকতে পছন্দ করে কোবরা সাপেরা। সাপ না ধরার অনুরোধ করা হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এটি শুধু বিপজ্জনক নয়, এটি একটি অপরাধও বণ্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে।’
তেজাস মারিস্বামী ওই এলাকার বিভাগীয় বনাধিকারিক বলেন, ‘ ওই সাপটি যে কিং কোবরা ছিল সেটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি । পরে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছি ওই সাপটিকে। ধানক্ষেতেও এই সাপ থাকে। যাতে তারা কেউ সাপ না ধরেন তাই আমরা এলাকার মানুষদের সচেতন করি। কারণ, এটা বিপদজনকই নয়, বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে অপরাধ সাপ ধরা।’