ঋষিকেশে বসবাসকারী এক বয়স্ক দম্পতি শ্রী বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটিকে (বিকেটিসি) তাদের বাড়ি উইল করেছেন। এই সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। শ্রী বদ্রীনাথ কেদারনাথ মন্দির কমিটির নামে যে বৃদ্ধ তার সম্পত্তির নাম রেখেছেন তার নাম শঙ্কর লাল শাহ।
এত বড় অনুদান দিলেন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা যে বিশ্বাস করা শক্ত:
শঙ্কর লাল শাহ তার স্ত্রীর সঙ্গে ঋষিকেশের আবাস বিকাশ কলোনিতে থাকেন। শংকর লাল শাহ সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। মন্দির কমিটির মিডিয়া ইনচার্জ ডক্টর হরিশ গৌর জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে শাহ তাঁর বাড়ির উইল মন্দির কমিটির নামে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন শ্রী বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি অজেন্দ্রের কাছে। যা কমিটি মেনে নিয়েছে।
অতীতে মন্দির কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিডি সিং-এর নির্দেশে উইলটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার মন্দির কমিটির আইন আধিকারিক শিশুপাল বাটরাওয়াল, আশুতোষ শুক্লা এবং মিডিয়া ইনচার্জ ডঃ হরিশ গৌড় দানি শঙ্করলাল শাহের সাথে দেখা করেন। এ সময় উইলে প্রাপ্ত বাড়ি-জমির সুযোগ পরিদর্শন করা হয়। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে উইলকারী শংকর লাল শাহকে ধন্যবাদ জানান মন্দির কমিটি।
এই মহান দাতা কারা?
ওএনজিসিতে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন দানি শঙ্কর লাল শাহ। তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত। শংকর লাল শাহের পরিবারে স্ত্রী রজনী শাহসহ মোট দুইজন সদস্য রয়েছেন। শঙ্কর লাল শাহ, মূলত আলমোড়ার দ্বারহাট এলাকার বাসিন্দা, বর্তমানে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট ঋষিকেশে থাকেন। তিনি তাঁর ২০০ গজের বাড়ি মন্দির কমিটিকে উইল করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এছাড়াও ঋষিকেশ ত্রিবেণী ঘাটের জমি তীর্থ পুরোহিত কমিটিকে দেওয়া হয়েছে পৌর কর্পোরেশন। আগের দিন বরাদ্দকৃত জমিতে অফিসের ভূমিপূজন করা হয়।