শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী ও রেলকর্মী ছাড়া অন্য কেউ উঠতে পারবেন না স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে, স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিল রেল। তাই নয় স্বাস্থ্যকর্মীরা উপযুক্ত পরিচয়পত্র দেখালে তবেই তাঁরা উঠতে পারবেন স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে। অন্য কোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত কেউ যাতে রেল পরিষেবা না ব্যাবহার করে সেই জন্য কঠিন পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল।
রেলের হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা জানান, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্য পেশার সাথে যুক্ত কেউ স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে পারবেন না। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য আলাদা কামরা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীরাই সেই কামরায় উঠতে পারবে। হাওড়া ডিভিশনের ট্রেনগুলির প্রথম দিকের দু’টি কামরা সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীরা ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য অবশ্য তাঁদেরকে সঠিক পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। রেলের টিকিট পরীক্ষক সেই পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখবেন। রেলকর্মীরা যাতে করোনায় সংক্রমিত না হন, তার জন্যই দূরত্ব বিধি মেনে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রেল কর্মীদের মধ্যে বেশি মাত্রায় সংক্রমন ঘটনা ঘটছে।
ইস্টার্ন রেলওয়েস মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ জানান, গত কয়েকদিনের মধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনে করোনা সংক্রমনের ফলে মৃত কর্মীদের তালিকা সোমবার পাওয়া গেছে। সেই তালিকাই বলে দিচ্ছে, শিয়ালদহ ডিভিশনে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন মারা গিয়েছেন গত কয়েকদিনের মধ্যে। সাথে সাথে আরও জানান, শিয়ালদহ বি আর সিং হাসপাতালে পালমোনোলজিস্ট মাত্র একজন। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন করোনা আক্রান্ত রেলকর্মীরা। পূর্ব রেলের স্বাস্থ্যদপ্তরের চীফ মেডিক্যাল ডিরেক্টর রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য জানান, ৯৫ হাজার বেতনের বিজ্ঞাপন দিয়েও স্পেশালিস্ট চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না রেল হাসপাতালের জন্য। কেউ আবেদন পাঠালেই তাঁকে নিয়োগ দেবে পূর্ব রেল।
এর কারণ হিসেবে তিনি জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বেতন প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। সেখানে এই বেতনে চিকিৎসক পাওয়া সমস্যা।
এদিকে রেলের বহু সংখ্যক টিকিট পরীক্ষক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শহরতলির বিভিন্ন টিকিট পরীক্ষকদের এবার মেল এক্সপ্রেসে টিকিট পরীক্ষার জন্য নিযুক্ত করা হচ্ছে।