আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ভারত ছেড়েছিলেন হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী। সেই কারণে অভিযুক্ত কে ভারতে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই রায়কে সায়ও দিয়েছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব। এবারে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জের অনুমতি চেয়ে ব্রিটেনের হাইকোর্টে আবেদন করলেন নীরব মোদী।
বহুদিন ধরে আইনি লড়াইয়ের পর ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ায় মামলায় হেরে যান নীরব মোদী। এর ফলে ১৪,০০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ীকে ভারতে ফিরিয়ে আনার আদেশ দেয় ব্রিটেনের আদালত। লন্ডনের ওয়ান্ডওয়ার্থ জেল থেকে অনলাইনে ভিডিওর সাহায্যে সেই শুনানিতে হাজির ছিলেন ৪৯ বছরের নীরব মোদী। ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টের জজ স্যামুয়েলস জোনস বলেছিলেন, ভারতীয় কোর্টে তাঁকে হাজির হতে হবে। রায় দানের সময়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে প্রতারণা এবং আর্থিক জালিয়াতির স্বপক্ষে যে প্রমাণ আছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।’ এর সাথেই বিচারক আরও জানিয়েছেন, ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেলের কাছে রায়ের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ভারত-ব্রিটেনের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে, ভারতে কাউকে প্রত্যর্পণের জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেই বিষয়ে ফাইনাল ডিসিশন নেওয়ার জন্য তাঁর হাতে এখনো দু’মাস সময় আছে। তবে সাধারণ আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে সাধারনত স্বরাষ্ট্রসচিবের মত যায় না। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেইমতো ভারতের নীরব মোদীকে ফিরিয়ে আনার রাস্তা আরও পরিষ্কার হয়। এবার যদি নীরবের চ্যালেঞ্জ কে লণ্ডনের আদলত অনুমোদন দেয়, তাহলে লন্ডনের হাইকোর্টের প্রশাসনিক বিভাগে সেই মামলার শুনানি হবে।