জম্মু ও কাশ্মীরের বানিহাল থেকে সামনে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পড়ে এক নবজাতক শিশু কন্যাকে দাফন করে তার পরিবার। কাকতালীয় ভাবে শিশুকন্যাটিকে তার দাফন করার প্রায় এক ঘন্টা পরে কবর থেকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু কবরস্থান থেকে তাকে তোলা হল কেন? আসলে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে তাদের কবরস্থানে দাফনের বিরোধিতা করে এবং তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার জন্য পীড়াপীড়ি করছিল। অলৌকিকভাবে কবর থেকে শিশুটিকে জীবিত পাওয়া যাওয়ার পর, তার পরিবারের লোকজন সরকারি হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এই বিষয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং প্রশাসন ডেলিভারি রুমে কর্মরত দুই কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। এছাড়াও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরপঞ্চ মঞ্জুর আলিয়াস ওয়ানি জানান, শিশুটি বাশারত আহমেদ গুজর ও শামিনা বেগমের সন্তান। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সোমবার উপ-জেলা হাসপাতালে মেয়েটির জন্ম হয়। তিনি আরো জানান যে, দম্পতি রামবন জেলার বানিহাল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বানিকুট গ্রামের বাসিন্দা।
ওয়ানি অভিযোগ করেছেন যে মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করে দেওয়া হয় এবং দুই ঘন্টা ধরে অপেক্ষার পরও হাসপাতালের আর কোনও ডাক্তার তাকে দ্বিতীয়বার দেখেননি যার পরে পরিবার তাকে হলান গ্রামে রীতি মেনে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন, দম্পতি ফিরে এলে স্থানীয় কয়েকজন মেয়েকে ওই কবরস্থানে দাফনের প্রতিবাদ করেন। এ কারণে প্রায় এক ঘণ্টা পর মেয়েটিকে কবর থেকে বের করে আনতে হয় পরিবারকে। ওয়ানি বলেন, মেয়েটিকে যখন কবর থেকে উদ্ধার করা হয়, তখন তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়, এরপর পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
“প্রাথমিক চিকিৎসার পর, মেয়েটিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিত্সার জন্য শ্রীনগরে রেফার করা হয়েছে”। গুজ্জর নেতা চৌধুরী মনসুর, যিনি নিজে একজন সরপঞ্চ, হাসপাতালের কর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। ঘটনার পর, শিশুটির পরিবার এবং অন্যরা হাসপাতাল চত্বরে “ডাক্তার ও হাসপাতালের কর্মীদের অ-পেশাদার মনোভাবের বিরুদ্ধে” বিক্ষোভ করেছে।
বানিহাল ব্লক মেডিকেল অফিসার (বিএমও) ডাঃ রাবিয়া খান জানান, বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই স্ত্রীরোগ বিভাগে কর্মরত জুনিয়র স্টাফ নার্স এবং সুইপারকে বরখাস্ত করেছি।” ডাঃ খান বলেন, তদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হবে।