ভারতে করোনা কেস ক্রমশই উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। চতুর্থ ঢেউ কি আসন্ন? গত বেশ কয়েকদিন যাবত যেভাবে করোনা সংক্রমনের ঘটনা আর করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দুশ্চিতার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে। এক আধ দিন সংক্রমণ সামান্য কমলেও প্রায়দিনই সংক্রমণ এর পারদ ঊর্ধ্বমুখী।
আজ আবারও করোনার সংক্রমনের ক্ষেত্রে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনার ক্ষেত্রে আজ বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজারের বেশি নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর সাথে কোভিড-১৯ এর কারণে ৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ ভারতে কোভিড-১৯ এর ২০ হাজার ১৩৯টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট ভীতিকর। কারণ এর আগে বুধবার ১৬ হাজার ৯০৬টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। মানে গতকালের থেকে আজ ৩ হাজার ২৩৩টি কোভিড কেস বেশি রিপোর্ট করা হয়েছে।
বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বা নিভৃতবাসে আছে এমন এক লাখেরও বেশি (১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬ জন) সক্রিয় রোগী রয়েছে। বর্তমানে দেশে কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার হার ৯৮.৪৯ শতাংশ। একই সময়ে, সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৪.৩৭ শতাংশ।
ক্রমবর্ধমান কোভিড কেসের কারণে, কেন্দ্রীয় সরকার বুস্টার ডোজ (অর্থাৎ করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ) এর উপর জোর দিচ্ছে। গতকালই, এখন থেকে দেশে ১৮+ জনকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রচারাভিযানটি ৭৫ দিনের জন্য মিশন মোডে দেশে চালানো হবে এবং আরও বেশি সংখ্যক লোককে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এছাড়াও আবারো সকলকে মাস্ক পড়তে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।