যৌনতার চাহিদা পৃথিবীর প্রাণীদের একটি আদি এবং অকৃত্রিম প্রবৃত্তি। বিশ্বের সব প্রাণীই যৌনতাই মাতে। তবে যৌন সুখ লাভের জন্য এই দেশের বানর প্রজাতি যা করছে তা বেশ চমকপ্রদ। বিষয়টা কি? আসলে বিশ্বের প্রাচীনতম প্রজাতির বানর যার নাম কিনা ম্যাকাক বর্তমানে দারুন চর্চায় রয়েছে। এর পেছনে রয়েছে এক চাঞ্চল্যকর গবেষণা। এই নতুন গবেষণায় জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার বানররা মানুষের মতো সেক্স টয় ব্যবহার করে। সেক্স টয় হিসেবে তারা পাথর ব্যবহার করে। কানাডার গবেষকরা তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় এ দাবি করেছেন। গবেষকরা বলছেন, মধ্য বালির জঙ্গলে বসবাসকারী বানরদের মধ্যে এমনটি দেখা গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে, তারা পুরুষ এবং মহিলা উভয় লিঙ্গেই অন্তর্ভুক্ত। (ছবি: ইন্টারনেট)
কানাডার লেইথব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, লম্বা লেজের এই বানররা তাদের যৌনাঙ্গ পাথর দিয়ে ঘষে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই পাথরকে যৌন খেলনা হিসাবে ব্যবহার করে, তবে এই আচরণটি মহিলাদের তুলনায় পুরুষ বানরের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। তারা যৌনাঙ্গে পাথর ঘষে।
বানররা কী ধরনের পাথর বেশি ব্যবহার করে গবেষণায় তা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছিল। গবেষণায় জানা গেছে যে তারা এমন পাথর ব্যবহার করেছে যার কিনারা রুক্ষ ছিল এবং বা কৌণিক আকৃতির ছিল। গবেষকরা বলছেন, পুরুষ ও স্ত্রী বানর পাথরের সাহায্যে যৌনসুখ পাওয়ার চেষ্টা করছে এমনটা পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০১৬ এবং ২০২০ সালের মধ্যে, এমন অনেক ভিডিও প্রকাশের পরে গবেষণা শুরু হয়েছিল।
গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় যে বিষয়গুলো সামনে এসেছে তাতে এটা পরিষ্কার যে বানরের এমন স্বভাব নতুন কিছু নয়। যৌন সুখের জন্য বানররা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মতন কিছু কিছু জিনিস ব্যবহার করে আসছে। শুধু তাই নয়, জাপানে যৌনসুখের জন্য হরিণের পিঠে বসে যৌনাঙ্গ ঘষতেও দেখা গেছে বানরদের।
গবেষকরা বলছেন, আগে যে পাথরগুলো শিকারে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো, পরবর্তীতে সেগুলোই বন্য বানরের কাজে লাগে বলে প্রমাণিত হয়েছে। তারপর প্রাণীদের ওই প্রজাতি ধীরে ধীরে এটিকে সেক্স টয় হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এই আচরণ ধীরে ধীরে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যায়।