উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে এক নাবালিকা। পাড়ায় বসবাসকারী যুবক তার উপরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার ভাইকে দেখে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই বিষ পান করেন নির্যাতিতা। অবস্থার অবনতি হলে তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা তাকে কানপুরে রেফার করলেও পথেই মেয়েটির মৃত্যু হয়।
সূত্র অনুযায়ী, ফতেহপুরে জেলার জেহানাবাদ থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরের পরিবারের সদস্যরা গভীর রাতে পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিল। এদিকে ওই কিশোরী বাড়িতে একা থাকায় প্রতিবেশী এক যুবক অতর্কিত অবস্থায় তাকে একা দেখে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় নাবালিকার ভাই বাড়িতে পৌঁছালে তাকে দেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। কিন্তু মেয়েটি বিষ খেয়ে নেয় ঘটনার আঘাত সহ্য না করতে পেরে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি প্রেমঘটিত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত তিনটার দিকে তার ছেলে বাড়িতে এসে দেখেন, পাড়ার যুবক তার মেয়েকে ধর্ষণ করছে, ছেলে তাকে ধরে ফেলে। কিন্তু সে তাকে দূরে ঠেলে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই, আমার মেয়ে একটি ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে নিজেকে আটকে ফেলে এবং ইঁদুর হত্যাকারী বিষ খেয়ে নেয়। কোনোমতে ঘরের দরজা খুলে দেখলেন, তার মেয়ে মাটিতে পরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। পাশে ইঁদুর মারার ওষুধের শিশি পড়ে ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা তাকে কানপুরে রেফার করলেও পথেই তার মৃত্যু হয়।
এই বিষয়ে বিন্দকির সিও পশুরাম ত্রিপাঠী জানান, জেহানাবাদ থানায় ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকা একই গ্রামের বাসিন্দা যুবকের সঙ্গে মাঝে মাঝে কথা বলত। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এরই জের ধরে তিনি বিষাক্ত দ্রব্য খেয়ে আত্মহত্যা করেন। যার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।