Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

মানুষের হারানো স্মৃতি শক্তি ফিরে আসছে নাকি শুধু গান গেয়েই, এখন কলকাতাতেই চালু হতে চলেছে মেমোরি ক্লিনিক

বেবাক ভুলে গিয়েছিলেন ছোটবেলার কথা। চল্লিশ বছরের পুরনো রাস্তা মুছে গিয়েছিল মন থেকে। রাগ সংগীতেই কাটল মনের অন্দরের অন্ধকার। ফিরে এল হারানো স্মৃতি।
গল্প নয় সত্যি। স্মৃতি মুছে যাওয়ার অসুখ ডিমেনশিয়া সাড়াচ্ছে খাম্বাজ, কাফি, আশাবরী কিংবা রাগ জৌনপুরি। সঙ্গীতেই ধীরে ধীরে তাজা হচ্ছে ফিকে হয়ে আসা স্মৃতি। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে ভুলে যাওয়ার অসুখ।

২০২২ সালের মধ্যে পৃথিবীর ষাটোর্ধ্ব মানুষদের মধ্যে ৭০ শতাংশই স্মৃতি হারিয়ে ফেলবেন। এই মুহূর্তে দেশের ৬০ লক্ষ মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গের অশীতিপর জনসংখ্যার ২০ শতাংশই স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?

চিকিৎসকরা বলছেন, ক্রমশ জটিল হয়ে পরা জীবনই এর জন্য দায়ী। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুড়ো হয়ে যায় মস্তিষ্কের কোষগুলো। মস্তিষ্কের কোষ বা ব্রেইন সেল শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দেখা দেয় ডিমেনশিয়া। তবে শুধুমাত্র বার্ধক্যজনিত কারণে নয়, স্ট্রোক অথবা দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত লাগলেও ডিমেনশিয়া দেখা যায়।

ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সিদ্ধার্থ শঙ্কর আনন্দের কথায়, সাধারণ ভুলে যাওয়া মানেই ডিমেনশিয়া নয়। একটা নাম অনেকক্ষণ ধরেই মনে করার চেষ্টা করছেন, কিছুতেই মনে করতে পারছেন না। কিংবা ধরুন অমুক তারিখে কাউকে আসতে বলেছেন, সেটা নিজেই ভুলে গেলেন। তারপর রোজকার ওষুধ খেতেও ভুলে যাচ্ছেন- এগুলি সবই বার্ধক্যের স্বাভাবিক লক্ষণ। শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় অত্যধিক চাপ থেকেও মানুষ জিনিস ভুলে যায়। স্বাভাবিক উপসর্গ হলে একটা সময় পরে আপনা থেকেই এগুলি মনে পড়ে গেলেও, ডিমেনশিয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয় না! তখন ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও মনে পরে না প্রিয়জনের নাম। বাড়ি ফেরার রাস্তা গুলিয়ে ফেলেন অনেকে।

এদের জন্যেই মেমোরি ক্লিনিক। পূর্বভারতে ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে অভিনব এই ক্লিনিক পথ চলা শুরু করেছে শুক্রবার। কড়া ওষুধ নয়, বরং সংগীত-ছবি আঁকার সরঞ্জাম দিয়েই স্মৃতি ফেরানো হচ্ছে অশীতিপরদের। কীভাবে কাজ করছে সংগীত?

স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে চারটি লোব। ফ্রন্টাল লোব, পেরিয়েটাল লোব, অক্সিপেটাল লোব, টেম্পোরাল লোব। এই চারটি লোব মস্তিষ্কের প্রতিটি ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ডিমেনশিয়া অসুখে নষ্ট হয়ে চারটি লোবের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ। পছন্দের রাগ চাঙ্গা করে এই লোবগুলিকে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গান শোনা, তা শুনে চিনতে পারা, সেই গানের দৃশ্য মনে মনে কল্পনা করা এ সবকিছুর মাধ্যমে মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তেমনটাই ছবি আঁকা। পাহাড় আঁকার সময় তিনকোণা দাগ কাটা। তাতে খয়েরি রঙ বসানো, এ সবের মাধ্যমেও ক্রমশ তরতাজা হচ্ছে ঝিমিয়ে পরা মস্তিষ্ক।

Related posts

কোন ব্যাক্তি সেক্স অ্যাডিক্ট কিনা বলে দেবে তার আচরণ! যৌন আসক্তির লক্ষণগুলো কী কী?

News Desk

সেক্সের সময় দুর্ঘটনাবসত ফেসবুক লাইভ! তারপর..

News Desk

প্ল্যাটফর্মে নিস্পন্দ মায়ের পাশে খেলছিল অবোধ শিশু! জিআরপির সন্দেহ হতেই যা দেখা গেল..

News Desk