বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অথচ স্বামী বা স্ত্রী স্বমেহনে অভ্যস্ত। শুনে অবাক হবেন অনেকই। আদৌ কি স্বাভাবিক এই প্রশ্নও তুলবেন অনেকে?
কথাটা স্বমেহন (Masturbation)। পড়া যায় শব্দটা। আবার বলা যায় মনে মনে। কিন্তু বিপদ আসে জোরে বলতে গেলেই। আর তার চেয়েও বেশি বিপদ কেউ যদি স্বীকার করেন যে স্বমেহন করেন তিনি নিয়মিত।
সকলেই বলে উঠবে ভীষণ পাপ। পাপে ভরে গেছে দুনিয়াটা। না হলে এসব করতে পারে কেউ নির্লজ্জের মতো? রে রে করে উঠবে নীতি পুলিশ আর স্বঘোষিত সমাজ সংস্কারকরা। ভারতীয় সমাজ তার বাসিন্দাদের দিনের পর দিন বুঝিয়ে এসেছে যে স্বমেহন (Masturbation) হল পাপ। যৌনতা অস্বাভাবিক। অন্যায় এসব করা। কেউ যদি এসব করে তাহলে সুখী হয় না তারা জীবনেও।
অবাক বিশ্বাস অবাক পৃথিবীর। এমনিতেই এক রকম পাপ আমাদের দেশে স্বমেহন (Masturbation) করা, আর যদি তা হয় বিয়ের পর তাহলে “ঈশ্বরই ভরসা”। আপনাকে অপরাধীর আসনে বসিয়ে দেবে কেউ জানতে পারলে। ঘৃণা করবে। সঙ্গ দেবে না সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীও। তিনিও তো বিশ্বাস করেন স্বমেহন যে একটি অস্বাভাবিক যৌনতা।
কিন্তু জানেন কি স্বমেহনকে (Masturbation) পুরোপুরো সমর্থন করেন যে চিকিৎসক এবং মনোবিজ্ঞানীরা? তাঁদের মতে সুস্থতার লক্ষণ স্বমেহন।
আসলে একেক জনের চাহিদা একেক রকম যৌনতার ক্ষেত্রে। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বিয়ে করে নিলেই এমন ধারণা আমাদের দেশে আছে বটে, কিন্তু বাস্তবটা অত সহজ নয়। বিয়ে করে কারও যৌন আকাঙ্খা পূরণ করা যায় না। বিশেষ করে নিজেদের যৌন আকাঙ্খার কথা স্বীকার করতে পারেন না যাঁরা মুখ ফুটে তাঁরা নিয়মিত মাস্টারবেশন করে থাকেন নিজের সুখের জন্য।