স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দ্বিতীয় স্ত্রীকে। ফরাক্কা থানা এলাকার খোদাবন্দপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে স্থানীয় এক দিনমজুরকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বিষক্রিয়ার জেরে গুরুতর অসুস্থ নিহতের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলে। তার পর থেকেই পলাতক ছিলেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় নাসিরুদ্দিন শেখের (৩৫)। ঘটনায় খাবারের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী বেদনা বিবির বিরুদ্ধে। খাবারে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নাসিরুদ্দিনের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তার ছেলে। সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় নাসিরুদ্দিন শেখের।
এই ঘটনায় ফরাক্কা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন বেদনা বিবি। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে রানিতলা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে ফরা্ক্কা থানার পুলিশ। শুক্রবার বেদনা বিবিকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করান হয়েছে। কী কারণে স্বামী ও তাঁর গোটা পরিবারের খাবারে বিষ মিশিয়েছিলেন বেদনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ দিকে খাদ্যে বিষক্রিয়ার একই পরিবারের ৪ জন অসু্স্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের সাহুডাঙি এলাকায়। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই পরিবারের আরও একজনের। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রবিবার থেকে অসুস্থ ওই পরিবারের সদস্যরা। বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক তরুণীর। তারপরই তদন্তে নামে স্বাস্থ্য দফতর এবং খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। রাজগঞ্জের BMOH শুভদীপ সরকার ও জলপাইগুড়ি জেলার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক রাজেন্দ্র রাই বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। খাবারের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের ওই পরিবারটি রবিবার শাক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। বমি, পেটখারাপের মতো উপসর্গ ছিল। কিন্তু প্রথমেই তাঁরা কেউ চিকিৎসকের কাছে যাননি। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর হাসপাতালে ভর্তি হন।সেদিন কার খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। কী কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটল তা রিপোর্ট থেকে জানা যাবে।