ছত্তিশগড়ের কোরবায় এক বান্ধবী মদের সাথে নিজের প্রেমিককে বিষ খাইয়ে দিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রেমিক কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যেখানে ওই যুবককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই যুবক তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যুবকের অভিযোগ, বান্ধবী তাকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বান্ধবী তাকে দেখা করতে ডেকে কিছু খাবার নিয়ে আসতে বলে দোকানে পাঠায়। এ সময় যুবকের মদে বিষ মেশানো হয়। মদ খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক।
যুবকের অবস্থার অবনতি দেখে প্রেমিকা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কোনোমতে হাসপাতালে পৌঁছান ওই যুবক। জ্ঞান ফেরার পর ওই যুবক থানায় মামলা করেছেন। তবে পুলিশ যুবককে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ভালো চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে। ৩১ বছর বয়সী যুবকের নাম সঞ্জয় কুমার এবং সে বাঁকি মোংড়ার বাসিন্দা। সঞ্জয় এসএস প্লাজায় অবস্থিত একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। সঞ্জয়ের অভিযোগ, অ্যালকোহলে ইঁদুর ও মাদক মিশিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে তাঁর বান্ধবী। তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা হাসপাতাল ফাঁড়ির পুলিশের প্রাপ্ত মেমোর ভিত্তিতে সঞ্জয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে। সঞ্জয় জানান, তিনি বিবাহিত, কয়েক বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় এবং সে তার মায়ের বাড়িতে চলে যায়। মাসখানেক আগে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্ব কখন প্রেমে পরিণত হয় বুঝতে পারেননি। মেয়েটির এনগেজমেন্ট হয়ে যায়। সঞ্জয় বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে ডাকেন।
সিএসইবি ফাঁড়ি এলাকার ইন্দিরা স্টেডিয়ামে দুজনের দেখা হয়। তার সঙ্গে মদ খেয়ে এনেছিল যুবক। মেয়েটি বলল কিছু খাবার নিয়ে আসো। এ সময় তার মদের মধ্যে বিষ মেশানোয় কিছুক্ষণ পর যুবক অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সঞ্জয় বললে আমাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাও, মেয়েটি এখন তোমার সময় হয়েছে বলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
সঞ্জয় কীভাবে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন তা তার মনে নেই, সঞ্জয় বলেছিলেন যে যখন তার জ্ঞান ফেরে, তখন তাকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। সঞ্জয় পুলিশকে জানিয়েছেন যে কীভাবে তিনি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন তা তার মনে নেই। চেতনা ফিরে পেয়ে, সঞ্জয় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় এবং CSEB ফাঁড়িতে পৌঁছায় এবং পুলিশে অভিযোগ জানায়।
ফাঁড়ির ইনচার্জ তাকে প্রথমে চিকিৎসা নিতে বলেন। সিএসইবি ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, এক যুবক এসেছিলেন। তার সঙ্গে তার বান্ধবীর বিরোধ রয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা হাসপাতাল চৌকি থেকে বক্তব্য পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বর্তমানে ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরই এ বিষয়ে বয়ান নেওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।