অনেকেই নিশ্চয়ই বিশ্বের একাধিক খুনের ঘটনা শুনেছেন, কিন্তু কানপুরের এই খুনের ঘটনায় এমন কিছু ছিল, যা পুলিশকেও অবাক করেছে। আসলে এই খুনিরা প্রথমে নিহতের ভাইয়ের কাছ থেকে এক লাখ টাকার সুপারি নিয়ে তার ভাইকে হত্যা করে। হত্যার অভিযুক্তরা পরে তাদের পাপের জন্য এতটাই অনুতপ্ত হয়েছিল যে তারা খুনের পাপ ধুয়ে ফেলতে পবিত্র আবাস চিত্রকূটে পৌঁছয়।
সেখানে তারা মন্দাকিনীতে স্নানও করে এবং ভগবানের দর্শন করেন। কিন্তু চিত্রকূট থেকে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই খুনীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আশ্চর্যের বিষয়, এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে যে অর্থাৎ নিহতের নিজের ভাই সে শুধুমাত্র তার শালীকে বিয়ে করার কারণে ভাইকে মেরে ফেলে। দুদিন পর সেখানে তার তিলক অনুষ্ঠানও হয়।
২৫শে জুনের ঘটনা
গোশালার কর্মচারী লালু যাদব খুনের অভিযোগে চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৫ জুন রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। লালুর নিজের ভাই রাজন যাদব সুশীলকে এক লাখের সুপারি দিয়ে খুন করিয়েছিলেন। এসপি আউটার তেজ স্বরূপ সিং জানিয়েছেন, লালু রাজনের শ্যালিকাকে বিয়ে করতে চলেছিলেন। এতে রাজন রেগে যায়, তাই সুপারি দিয়ে সুশীলকে মেরে ফেলে।
২৭শে জুন ছিল লালুর বিয়ের তিলক অনুষ্ঠান। তার আগেই ২৫ তারিখ রাতে সুশীল তাকে গুলি করে। রাজন তাকে আগেই বলেছিল লালু রাতে গোয়ালঘর থেকে ফিরে আসে। সুশীলের বাড়িও ছিল লালুর বাড়ির কাছে। ষড়যন্ত্রের বিবাদে লালুর হাতে লাঞ্ছিত হন সুশীলের মা। এই কারণে সুশীল আগেই বিরক্ত ছিলেন।
তাই এক লাখ টাকার সুপারি পাওয়া মাত্রই তিনি লালুকে হত্যা করতে রাজি হন। সুশীল বলেন, খুনের পর আমরা চিত্রকূটে গিয়েছিলাম। সেখানে স্নান সেরে তারপর চলে এলাম কানপুরে। এরপরই আমরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলাম।