সম্পত্তির লোভে কাকার সাথে হাত মিলিয়ে বাবাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে ছেলেরা। দোকানের ছাদে ঘুমিয়ে থাকা বাবাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে তারা সবাই হামাগুড়ি দিয়ে রাতের আঁধারে কাছাকাছি পৌঁছে বাবার ওপর হামলা চালায়। হামলার এই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
লাখুরা থানা এলাকায় এ হত্যাচেষ্টা হয়েছে। বাবার খুনের চেষ্টার এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলা হচ্ছে, ভাই ও ছোট ছেলের ক্রমাগত অশান্তি করতে থাকলে ক্ষোভে চন্দেশ্বর প্রসাদ বড় ছেলের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। লাখোরা থানার দুহো সুহো গ্রামে পৈতৃক বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাড়ি বানিয়েছেন বড় ছেলে। সেখানে সিমেন্ট, বালি, রডের দোকান খুলেছে বড় ছেলে। বাবা সেখানেই থাকে।
ছোট ছেলের বিরুদ্ধে, চন্দেশ্বর প্রসাদ কিছু দিন আগে মতিহারী সদর এসডিও-কে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার আবেদন করেছিলেন। যা নিয়ে তৎকালীন এসএইচও আপসও করেছিলেন। কিন্তু ছোট ছেলে সঞ্জয় কুমার, মদ ও গাঁজায় আসক্ত, এবং তার কাকা অর্থাৎ চন্দেশ্বর প্রসাদের ভাই হরিশঙ্কর প্রসাদ ও খুড়তুতো ভাই পুরুষোত্তম কুমারের সঙ্গে মিলে জমি দখলের জন্য বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনা মতই গত ৬ জুলাই রাতে বড় ছেলের বাড়ির ছাদে জড়ো হন মোট ৫ জন। বাবা সেখানে ঘুমাচ্ছিলেন। তিন ষড়যন্ত্রকারীর হাতে পিস্তল ছিল। বারান্দায় হামাগুড়ি দিয়ে ওই তিনজন ঘুমন্ত চন্দেশ্বর প্রসাদের খাটের কাছে পৌঁছে তাকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু চন্দেশ্বর প্রসাদ মশারির ভিতরে ঘুমিয়েছিলেন এবং এই তিন হামলাকারী মারামারির সময় মশারির মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। ততক্ষণে চন্দেশ্বর প্রসাদ চিৎকার করতে শুরু করেন, এই তিনজনের সঙ্গে আসা দু’জন প্রথমে দৌড়ে পালায়, এই শব্দে আতঙ্কিত হামলাকারীরাও পালাতে শুরু করেন, ততক্ষণে চন্দেশ্বর প্রসাদও পালিয়ে প্রাণ বাঁচান।
ভাই, ভাইপো ও ছেলের এই কাজের ভিডিও সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। আসলে দোকানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাড়ির ছাদে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছেন বড় ছেলে। ঘটনার রাতে এখানে রেকর্ড করা ভিডিওতে ছোট ছেলে সঞ্জয় কুমার, ভাই হরিশঙ্কর প্রসাদ এবং ভাগ্নে পুরুষোত্তম কুমারের পুরো কাজটি ধরা পড়েছে। ৬ই জুলাই রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ই জুলাই লাখুরা থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। লাখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এফআইআর নথিভুক্ত করার পর পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।