মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলা থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। মোহন বরোদিয়া এলাকায় বাবার বাড়ি থেকে ফিরে বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে বান্ধবীকে দেখলেন স্ত্রী। এরপরই ক্ষিপ্ত মহিলা পুলিশ নিয়ে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর স্বামী ও তাঁর বান্ধবীর উপর গুরুতর অভিযোগ আনেন। এ সময় প্রচুর পারিবারিক নাটকও শুরু হয়ে যায়। মহিলার স্বামী জিতেন্দ্র শাস্ত্রী ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি এক জন ধর্মীয় বাবা হিসাবে নিজের পরিচয় দেয়। স্ত্রী ও পুলিশ বাড়িতে উপস্থিত মহিলার খোঁজখবর নিলে বাবা তাঁকে তাঁর শিষ্য বলতে শুরু করেন।
লক্ষণীয় যে, রক্ষা বন্ধনে বাবা-মায়ের কাছে যাওয়া ওই ব্যক্তির স্ত্রী যখন বাড়িতে ফিরে আসেন, তখন বাড়িতে অন্য মহিলার উপস্থিতিতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এরপর পুলিশের সামনে বেশ হৈচৈও করতে শুরু করেন তিনি। এ সময় দুই নারীর মধ্যে হাতাহাতি হতেও দেখা যায় এবং পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। এ সময় আশেপাশে বিপুল মানুষের ভিড় জমে যায়। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী জিতেন্দ্র শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মোহন বরোদিয়া থানার পুলিশ। বাবাজির স্ত্রীও স্বামীর ওপর মারধর, যৌতুকের জন্য হয়রানির মতো অভিযোগ করেছেন।
বউ বাড়ি গেল
আসলে, মহারাজের স্ত্রী রক্ষাবন্ধনে তাঁর মাতৃগৃহে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি জানতে পারেন স্বামী বাড়িতে অন্য নারীর সঙ্গে আছেন। এই খবর পেয়ে তাঁর স্ত্রী তাঁর মায়ের বাড়ি থেকে সরাসরি মোহন বরোদিয়াতে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে যান। এর পর স্ত্রী তোলপাড় সৃষ্টি করে। এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহারাজকে তল্লাশি করে। এরপর তাকে তালা দেওয়া ঘরটি খুলতে বলা হয়। প্রথম মহারাজ দরজা খুলতে অস্বীকার করলেন। কিন্তু ঘরের তালা খোলা হলে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে তার কথিত মহিলা শিষ্য।
এর পর স্ত্রী প্রচণ্ডভাবে রেগে গেল। এর পরে পুলিশ জিতেন্দ্র মহারাজ এবং তাঁর কথিত শিষ্যকে নিয়ে বিষয়টি শান্ত করতে বেরিয়ে আসে। বর্তমানে তার স্ত্রীর অভিযোগে মহারাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।