যুবকের চোখে মুখে পরিস্ফুট যে, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত তিনি। জিজ্ঞেস করলে একটাই উত্তর, ‘মায়ের কাছে যাব’। এই দৃশ্যের কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য রেল লাইনে শুয়ে ছিল সে।আত্মহত্যার চেষ্টায়। স্থানীয়দের চেষ্টায় অবশ্য রক্ষা করা গেছে তাকে। প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ওই যুবক। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দিঘায়।
সূত্র অনুযায়ী ওই যুবকের নাম বন্ধন পট্টনায়েক। ওড়িশার চন্দনেশ্বরে বাড়ী। কিছুদিন আগেই তাঁর মা মারা গেছেন। ১১ দিন পর, নিয়ম মেনে মায়ের শ্রাদ্ধ-ও করেছেন চন্দন। এরপরই নাকি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে সে। গতকাল সকালে তাঁকে দিঘা বাইপাস সন্নিকটস্থ লেবেল ক্রসিং-র কাছের রেললাইনে তাঁকে শুয়ে থাকতে দেখেন সেখানকারই এক যুবক। তখন ট্রেন আসার টাইমের খুব বেশি দেরি নেই। এক ব্যক্তিকে রেল লাইনে শুয়ে থাকতে দেখে ছুটে গিয়ে খবর দেন প্রতিবেশিদের। ততক্ষণে দীঘার ট্রেনের আর কয়েক মিনিট মাত্র বাকি, তার মধ্যেই ট্রেন এসে যেত। ওই যুবক দ্রুততার সাথে কাছের গ্রামবাসীরা জড়ো করে উদ্ধার করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা যুবককে। যদিও তাঁকে উদ্ধার করার কাজটা সহজসাধ্য ছিল না। কোনওমতে রেললাইন থেকে টেনে তোলা হয় সেই যুবককে।
খবর যায় স্থানীয় দিঘা জিআরপি থানায়। থানার লোকজন এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে খবর পাঠায় ওই যুবকের বাড়িতেও। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে করে তাঁকে সেখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কেন আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন? বন্ধন পট্টনায়েকের বক্তব্য, মৃত্যুর পর নাকি মায়ের সঙ্গে স্বপ্নে কথা হয়েছে তাঁর, কথাও বলেছেন। এমনকী, মায়ের কাছে চলে যেতে চান বলে অনেক কাকুতি-মিনতিও করেছেন স্বপ্নে! মা স্বপ্নে তাঁর কাছে আসতে না করলেও যুবক নাছোড়বান্দা। ওই কারণে প্রাণ দিয়ে মায়ের কাছে পৌঁছতে রেললাইনে শুয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। দিঘা স্টেশনে জিআরপি থানায় খবর দেন এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে সন্ধাবেলা এসে বন্ধন কে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তার পরিবারের লোকেরা।