কাজের বাইরে মোবাইলে ভিডিও দেখার নেশা ছিল। দেখতেন আত্মহত্যা সংক্রান্ত ভিডিও। আর সেটাই হল কাল। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িতে এক মিস্ত্রির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবারের অনুমান, ওই ভিডিও দেখেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন শংকর রায় নামে ওই ব্যক্তি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আত্মহত্যাই কি না, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেই তা নিশ্চিত হতে চান তদন্তকারীরা।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ির বাসিন্দা শংকর রায়। পেশায় টাইলসের মিস্ত্রি। পরিবার এবং প্রতিবেশীদের দাবি, মোবাইলে আত্মহত্যার (Suicide) ভিডিও দেখতেই বেশি পছন্দ করতেন তিনি। তা দেখে প্রভাবিত হয়েই রবিবার ভোররাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের। মৃত শংকর রায়ের দাদা সঞ্জিত রায় পুলিশকে জানান, ”কাজকর্ম শেষে মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ত ভাই। পরিবারে এমনি কোনও সমস্যা ছিল না। মোবাইলে গেম খেলার পাশাপাশি আত্মহত্যার মতো ঘটনার ভিডিও দেখতেই বেশি পছন্দ করত।” সঞ্জিৎবাবু আরও জানান, বাড়ির লোকজন তাঁকে এসব দেখায় বাধা দিতেন। তাঁদের অনুমান, মোবাইলে আত্মহত্যার মতো ঘটনা দেখতেই ভাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
রবিবার শংকরের ঝুলন্ত দেহ (Hanging body) দেখতে পান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। কিন্তু তাঁদের সকলেরই অনুমান, স্রেফ মোবাইলে ভিডিও দেখার নেশা থেকেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। নয়ত তাঁর আত্মহত্যার মতো কোনও কারণই ঘটেনি বলে দাবি তাঁদের। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে মৃতের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। সেসব ঘেঁটে দেখা হচ্ছে, ঠিক কোন ধরনের ভিডিও তিনি দেখতেন। তা থেকেই তাঁর প্রবণতা বোঝা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।