এমন পরিস্থিতি দাড়ায় যে কখনও মনে হয় যে আপনি কোনও কিছুতে অতিরিক্ত পরিমাণে আসক্ত হয়ে পড়ছেন, তবে আপনার সতর্ক হওয়া উচিত এবং অবিলম্বে তা কাটিয়ে উঠতে হবে। না হলে বিপদ হয়ে যেতে পারে। যেমন এই ক্ষেত্রে, পর্ন দেখার নেশা কাল হয়ে দাঁড়ালো এক তথ্যচিত্র কোম্পানির প্রযোজক মার্ক জোহানের জন্য। এতটাই যে তাঁকে পৌঁছতে হল আদালতে বিচারকের সামনে। কেননা অনলাইনে অ্যাডাল্ট শো আর পর্ন দেখতে কোম্পানির ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মার্ক খরচ করেছেন এক কোটি টাকা।
এই পরিমাণ টাকা জন্য কোম্পানি তাই মার্ক নামক ওই কর্মচারীর থেকে ফেরত দিতে দাবি করেছিল। ইউনাইটেড কিংডমের নিউজ ওয়েবসাইট metro.co.uk-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৫ বছর বয়সী প্রযোজক মার্ক প্রাপ্তবয়স্কদের পর্নোগ্রাফিক শো দেখার জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন। কিন্তু এই টাকা তিনি নিজের পকেট থেকে দেননি। উল্টে কোম্পানি থেকে পাওয়া ক্রেডিট কার্ডের সব লিমিট এতেই ঢেলে দিয়েছেন। বিষয়টি তাঁর কোম্পানি তে জানাজানি হলে তিনি এ টাকার হিসাব দিতে পারেননি।
এরপর কোম্পানিটি মার্কের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে এবং বিষয়টি আদালতের দ্বারস্থ হয়। মার্ক ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের নভেম্বরের মধ্যে ক্রয়ডন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি লন্ডন ক্রাউন কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়।
জানা গেছে মার্ক তখন তার কোম্পানির একাউন্ট দেখাশোনা করছিলেন। ২০১৯ সালে, কোম্পানি তাকে একটি ক্রেডিট কার্ড দেয় যা কোম্পানির কিছু কাজে ব্যবহার করার জন্য ছিল। কিন্তু মার্ক তার পর্ন শো দেখার আসক্তি পূরণের জন্য অপ্রয়োজনীয়ভাবে তার ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন অর্থাৎ কোম্পানির ক্রেডিট কার্ডের অপব্যবহার করেছেন এবং অনলাইন অ্যাডাল্ট শোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন। কোম্পানির অডিটরদের সন্দেহ হলে মার্কের কাছে ১ কোটি টাকার হিসাব চাওয়া হয়, যা তিনি দিতে পারেনি, তখন কোম্পানিতে হিসাব তছরুপের অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়।
এরপর ২০২০ সালে, মার্ক ওই কোম্পানি ছেড়ে চলে গেলেও তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে। এবং শেষে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। মার্ক পরে তার বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তিনি এই কাজের জন্য অনুতপ্ত। মার্কের যুক্তি শোনার পর আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিলেও এত সাজা তিনি আগেই ভোগ করেছেন।