মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক ব্যক্তি আর্থিক অনটন এবং চরম দারিদ্রের কারণে এতটাই বিরক্ত হয়ে ছিলেন যে তিনি তার স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে গাড়ির ভিতরে বসেই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
ভয়াবহ এই ঘটনাটি নাগপুর, মহারাষ্ট্রের। যেখানে এক যুবক পুরো পরিবার নিয়ে বিপজ্জনক উপায়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে লক করে রেখেছিলেন তিনি। এর পরেই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় স্বামী মারা গেলেও রক্ষা পান স্ত্রী ও ছেলে।
যে কারণে পুরো পরিবার একসঙ্গে মারা যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল?
আসলে, এই বেদনাদায়ক ঘটনাটি নাগপুরের বেলতারোডি থানা এলাকার খাপরি রিহ্যাব এলাকার। যেখানে মৃত ব্যক্তির নাম ৫৮ বছর বয়সী রামরাজ গোপালকৃষ্ণ ভাট। তিনি মূলত জয়তলার বাসিন্দা। গত কয়েকদিন ধরে ওই ব্যক্তি আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন, তাই তিনি এই ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয়, স্ত্রী ও ছেলের স্বামীর এই পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না।
মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোট লিখেছিলেন ওই ব্যবসায়ী:
বিষয়টি তদন্ত করছে যে নাগপুর পুলিশ তারা জানিয়েছে, যুবকের মৃতদেহ পিএম হাউসে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে আগুনে গুরুতর দগ্ধ স্ত্রী ও ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে মৃত্যুর কারণ আর্থিক সংকট বলে উল্লেখ করা হয়েছে, এমনটা ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ওই যুবক লিখেছেন, গত কয়েকদিন ধরে ব্যবসায় লাগাতার লোকসান হচ্ছিল। আমি আর রিকভার করতে পারিনি, তাই পুরো পরিবার সমেত জীবন শেষ করছি।
স্ত্রী ও ছেলেকে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য নিয়ে বেরিয়েছিলেন:
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুপুরে খাওয়ার অজুহাতে ওই ব্যক্তি স্ত্রী সঙ্গীতা ভাট (বয়স ৫৫ বছর) ও ছেলে নন্দনকে (বয়স ৩০ বছর) বাড়ি থেকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন মৃত ব্যক্তি। স্ত্রী-পুত্রের এই ব্যাক্তির আত্মহত্যার উদ্দেশ্যের কোনো আন্দাজ ছিল না। রাস্তায় বেরোনোর পর মা-ছেলে কিছু বোঝার আগেই স্ত্রী ও ছেলের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। মা ও ছেলে দ্রুত গাড়ির দরজা খুলে কোনোভাবে আগুন নিভিয়ে ফেললেও গাড়িতে থাকা রামরাজ ভাট দগ্ধ হন। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।