করোনা মোকাবিলায় প্রায় সবকটি দেশই নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বার বার সচেতন করছে নিজেদের জনগনকে। মেনে চলতে বলছে করোনা বিধী নিষেধ। না মানলে কোথাও কোথাও বা দেওয়া হচ্ছে সতর্কবাণী। কোথাও বা করা হচ্ছে জরিমানা। কিন্তু ভিয়েতনামে একটি আদালত সেই দেশের প্রশাসনের সাথে জোট বেঁধে যা পদক্ষেপ নিল, তা এককথায় অভিনব এবং বিরল। ইচ্ছাকৃত ভাবেই করোনা ভাইরাস জনগনের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন এই অভিযোগে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হল ২৮ বছরের এক যুবককে!
হ্যাঁ, আপনি একেবারেই ঠিক পড়েছেন। কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হল লে ভ্যান ত্রি নামের ভিয়েতনামের ওই যুবককে করোনার (Coronavirus) কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভেঙে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আদালতকে জানানো হয়, ওই যুবক কোভিডবিধি ভঙ্গ করে অনেকের সংস্পর্শে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আদালত সবদিক বিচার করেই কঠোর মনোভাব দেখায়। অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, কোয়ারেন্টাইনে ২১ দিন থাকতে হয় সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু হো চি মিন সিটি থেকে কা মাওয়ে আসেন লে ভ্যান ত্রি সেই নিয়ম না মেনেই। আর তাঁকে সেই কারণেই শাস্তি পেতে হল। তবে তিনি একা নন, আরও দুই ব্যক্তিকে এই একই কারণে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হয়েছিল। জেলে পাঠানো হয় একজন কে ১৮ মাস এবং অন্যজনকে ২ বছরের জন্য।
২০২০ সালে নিজের দাপট দেখিয়েছে মারণ করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে। সেই সময় ভিয়েতনাম (Vietnam) দুনিয়াকে রীতিমতো অবাক করে করোনা নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছিল। দেশটি বিপুল সংখ্যক টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, সীমান্তে কড়া বাধানিষেধ জারি এবং কঠোর কোয়ারেন্টাইন নিয়ম চালু করেই অতিমারীর বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর এপ্রিলে সেখানে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে নতুন করে। ফলে বাড়ে উদ্বেগও। তবে কা মাও এলাকায় কম সংক্রমণ অন্যান্য সব জায়গার থেকে।
সেখানে মাত্র ১৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন অতিমারী শুরুর পর থেকে। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাই লে ভ্যান ত্রিকে নিয়ম ভেঙে এখানে এসে করোনা ছড়ায় শাস্তি পেতে হল।