Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ফলাও করে হাঁটু ব্যথা সারানোর বিজ্ঞাপন দেওয়া সংস্থার বুজরুকি! পর্দা ফাঁস হতেই কড়া ব্যাবস্থা

বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যে কত ভুয়ো ব্যবসা চলছে তার হিসাব নেই। এইসব বিজ্ঞাপনদাতাদের বুজরুকি কে বিশ্বাস করে সাধারন মানুষ প্রায়ই হয়রান হয়। যেমনটা হলো এই ব্যক্তির সাথে। হাঁটু ব্যথার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। আমাদের সকলের মতোই রাস্তার সাইনবোর্ডে, খবরের কাগজে ফলাও করে চোখে পড়ে নানা সংস্থার হাঁটুর ব্যথা একদম সারিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞাপন। এমনই এক সংস্থার একটি বিজ্ঞাপন তার চোখে পড়ে যেখানে দাবি করা হয়েছে, হাঁটু ব্যথা না সারলে সম্পূর্ন টাকা ফেরত। এদিকে হাটু ব্যাথার রোগী ওই ব্যক্তি সেখানে গিয়ে যা দেখলেন তাঁতে তাঁর চোখ কপালে ওঠার দায়। তিনি দেখলেন, ওই সংস্থায় হোমিওপ্যাথি এক চিকিৎসক আয়ুর্বেদ্ক ওষুধ দিয়ে হাঁটু ব্যথার চিকিৎসা করছেন। এখানেই শেষ নয়… এইসব অসঙ্গতিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি দেখার পর ওই ব্যক্তি স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ দাখিল হলে দেখা যায়, সংস্থার আদতে কোন লাইসেন্স নেই চিকিৎসা করার, রয়েছে একটি ফিজিওথেরাপীর লাইসেন্স।

অবশ্য প্রতারণার খবর সামনে আসতেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। ওই সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রোগীকে চিকিৎসার টাকা ফেরত দেওয়ার। পাশাপাশি লাইসেন্সিং অথরিটিকে যথাযথ তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই সংস্থাটি আদৌ লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য কিনা তা সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করে দেখতে বলেছে কমিশন। একইসঙ্গে যতদিন ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে, ততদিন কোনো মিডিয়া যেমন খবরের কাগজ, টিভি চ্যানেল সহ অন্যান্য কোথাও বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। 

OPTM নামে ওই সংস্থাটি ফলাও করে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল খবরের কাগজে। হাঁটু ব্যথা সারার গ্যারান্টি বিজ্ঞাপনে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রোগীর চিকিত্সার পুরো টাকাটাই ফেরত দেওয়ার কথাও বলা ছিল ব্যথা না সারলে। উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অজিত কুমার নাথ সেইটা বিজ্ঞাপন দেখেই ওই সংস্থার রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের সেন্টারে যান। কিন্তু যখন সেখানে পৌঁছান তারপরই আসল ঘটনার পর্দা ফাঁস হয়।

অজিত কুমার নাথ নামের ওই ব্যক্তি দেখেন, বিজ্ঞাপনে যে ডাক্তারের নাম লেখা, তিনি ডাক্তার-ই নন আদপে। অন্য চিকিৎসক দেখেন সেন্টারে। তাঁকে সংস্থা থেকে বলা হয় যে, ১০০ শতাংশ নিরাময় তাঁরা করেন না হাঁটু ব্যথার। যতদূর সম্ভব সুস্থ করে তুলতে চেষ্টা করেন। এরপর আরও অভিযোগ করেছেন তিনি , তাঁর চিকিৎসা যেই ডাক্তার করেন, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার তিনি একজন। অথচ তাঁকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেন তিনি। 

এই চিকিৎসা করতে গিয়ে মোট ১২ হাজার ৬২৫ টাকা ব্যয় হয় অজিত বাবুর। কিন্তু হাঁটু ব্যথার পুরো কমে যাওয়া তো দুর, উল্টে বিন্দু মাত্র তারতম্য আসেনি সমস্যায়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরেই স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন ব্যাক্তি। সেখানে এই বিষয়ে শুনানির পর হয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

Related posts

আর হাওয়া দিতে হবে না চাকায়! পাংচার ও হবে না। বাজারে আসতে চলেছে নতুন টায়ার

News Desk

বেলাগাম হস্তমৈথুন করতেন রোজ রোজ, স্ট্রোক হয়ে শেষমেশ ঠাই হলো হাসপাতালে

News Desk

কলেজের জন্য নয়, সম্পূর্ন অন্য উদ্দেশ্যে কলেজ স্ট্রিট বানিয়েছিল ব্রিটিশরা ! জানেন কাহিনী

News Desk