এবার খাস কলকাতায় এক যুবককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত ওই যুবক যে সংস্থায় কাজ করেন, তার মালিক। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ওই যুবককে বলেও অভিযোগ। বাঁশদ্রোণীর ঘটনাটি। এই ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত শুভজিৎ সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগ করার সময় ভুক্তভোগী যুবক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি সংস্থাটিতে ২০২০ সালের জুন মাস থেকে কাজ করছি। এই দু’মাসে কাজ ছাড়ার জন্য বলেছি আমি। মালিক হুমকি দিত মানসিকভাবে। কখনও রাতে যেতে দিত না বাড়ি তে। আমি সেখানে একা থাকতাম আমাকে মদ খাওয়াত। আমাকে নির্যাতন করত রোজ রাতে। একাধিক বার শুভজিৎ তাঁকে ধর্ষণও করেছেন বলে ওই যুবক অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েক জন সাঙ্গপাঙ্গকে নিয়ে প্রায়শই শুভজিৎ তাঁর উপর চড়াও হতেন বলে দাবি তাঁর।
বাঁশদ্রোণীথানার পুলিশ জানিয়েছে, ২৬-এর কাছাকাছি অভিযোগকারী যুবকের বয়স। তিনি বিবাহিত, তবে বাপের বাড়ি থাকেন স্ত্রী । স্থানীয় একটি রংয়ের দোকানে কর্মরত ওই যুবক। শুক্রবার সকালে দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ঘটনার পর ভেঙে পড়েছেন ২৬ বছরের ওই যুবক। তার মেডিকেল টেস্ট করা হয় শুক্রবার (১৩ আগস্ট)। সে বাঁশদ্রোণী থানায় শনিবার (১৪ আগস্ট) লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তাকে সোমবার আসতে বলা হয় থানায় পুলিশের তরফ থেকে। তবে দেওয়া হয়নি এফআইআর কপি। পরে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
কিন্তু পুরুষকে ধর্ষণ সংস্থা কোনও সংস্থান নেই বলে জানান আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা ভারতীয় আইনে। তাঁর কথায়,’যে সংজ্ঞা রয়েছে ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সেখানে মহিলার কথাই আছে। ধর্ষণের ধারায় অভিযোগ পুরুষের ক্ষেত্রে গণ্য হয় না। মামলা রুজু করা যায় ৩৭৭ ধারায়। বিচারে পুরুষের উপর নির্যাতন সম্ভব নয় আইনের।’
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ (অপরাধমূলক আচরণ), ৩২৩ (শারীরিক নিগ্রহ), ৩৭৭ (জোরপূর্বক সঙ্গম), ৫০৬ (ভয় দেখানো) এবং ৩৪ (একসঙ্গে অনেকে মিলে অপরাধ ঘটানো) নম্বর ধারায় অভিযুক্ত শুভজিতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। আর এই ঘটনায় কে কে যুক্ত ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।