এক যুবকের বিরুদ্ধে তরুণীকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে লাগাতার দু’মাস ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। তালতলা এলাকায় ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কোনওমতে তালতলা থানায় অভিযোগ জানাতে সক্ষম হন ওই তরুণী প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে। তালতলার একটি বাড়ি থেকে নির্যাতিতা তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেয়ে।
তারপর নির্যাতিতা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত যুবক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জানতে পেরে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজারহাটের লাগোয়া একটি গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ শনিবার ভোরে। রাতেই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্তের নাম নাকি আসিফ খান। অভিযুক্ত ওই যুবক নিউ মার্কেট থানা এলাকার বাসিন্দা। আসিফের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, নির্যাতিতা যুবতীকে নিয়ে তালতলার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে, পেশায় মাংস ব্যবসায়ী ওই যুবকের স্ত্রী-সন্তান থাকার সত্ত্বেও বিষয়টি গোপন করে। শুধু তাই নয়, ওই তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ওই নির্যাতিতা তরুণী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং এলাকার বাসিন্দা পেশায় নৃত্য শিল্পী। ওই তরুণী সংসার চালাতেন গ্রামের নানান অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে। গতবছর ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় নির্যাতিতার এরকমই এক অনুষ্ঠানে।
তাঁর অভিযোগ, ওই যুবক প্রথমে তাঁর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারপর তাঁকে ক্যানিং থেকে তালতলা এলাকায় ওই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত নাইট ক্লাবে নাচের কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে। তিনি গ্রামের বাড়ি ছেড়ে তার সঙ্গে শহরে চলে আসেন ওই যুবককে বিশ্বাস করেই। এরপরই অভিযুক্ত স্বমূর্তি ধারণ করে। প্রথমেই সে ওই তরুণীর বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে চালাতে থাকে লাগাতার নির্যাতনও বলে অভিযোগ। অবশেষে গত জুন মাসে তালতলা থানায় খবর পাঠায় নির্যাতিতা প্রতিবেশীদের সাহায্যে। ওই তরুণীকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। অবশেষে রাজারহাট থেকে শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।