খবরের কাগজে লেখা উজ্জ্বল বর্ণে পাত্র-পাত্রী চাই ৷ প্রতিদিনই এমন বিজ্ঞাপন খবরের কাগজে দেখা যায় ৷ অনেকেই আবার আছেন, যারা বিভিন্ন ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটগুলিতে রেজিস্টার করে থাকে পাত্র-পাত্রীর জন্য ৷ কিন্তু এ ব্যাপারেও ‘আত্মনির্ভর’ কেরলের ত্রিচূরের ভাল্লাচিরার ৩৩ বছরের উন্নিকৃষ্ণণ৷ না প্রেমিকা নেই তাঁর৷ কিন্তু অন্য কিছু করেননি বিয়ের জন্য ৷ নিজের দোকানেই একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন ‘ভাল পাত্রী চাই’-এর !
তিনি খোঁজে রয়েছেন জীবনসঙ্গীনির ৷ আর কোনও বিশেষ ‘ক্রাইটেরিয়া’ তার জন্য উন্নিকৃষ্ণণের নেই ৷ তাঁর কাছে জাত-পাত বা ধর্ম কোনও কিছুই সমস্যার নয় ৷ শুধু একজন ভালো পাত্রী চাই ৷ ৩৩ বছরের কেরলের যুবকের এটুকুই চাহিদা৷ তাঁর এক বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় উন্নিকৃষ্ণণের দোকানের এই ছবি পোস্ট করতেই তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ৷ এমনকী, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড থেকেও বিয়ের জন্য ফোন কল এসেছে উন্নিকৃষ্ণণের কাছে!
কোনও কিছুই প্রচার করতে খুব বেশি সময় লাগে না সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে৷ উন্নিকৃষ্ণণ সাইনবোর্ডটি নিজের দোকানেই লাগিয়েছিলেন। আর তাতেই সব সম্পন্ন হয়েছে৷ এখন অভাব নেই পাত্রীপক্ষের ফোন কলের ৷ উন্নিকৃষ্ণণের কাজ শুধু একজন ঠিকঠাক বাছাই করাই ৷ এর আগে তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ কিন্তু আর সেই কাজ চালিয়ে যেতে পারেননি মাথায় টিউমারের অস্ত্রোপচারের পর ৷ একটি চায়ের দোকান খুলেছেন উন্নিকৃষ্ণণ বাড়ির সামনেই ৷ সেখানে তিনি লটারির টিকিটও বিক্রি করেন ৷ এখন উন্নিকৃষ্ণণ একজন ভালো লাইফ পার্টনারের খোঁজে ৷ অনেক পাত্রী খোঁজার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবরা মিলে৷ অবশেষে এই সাইনবোর্ড লাগিয়েই সাড়া পেলেন ৩৩ বছরের কেরলের যুবক নিজের দোকানে ৷ তিনি জানান, অনেক মালয়েলি মেয়েদের পরিবারের কাছ থেকে তিনি বিয়ের জন্য ফোন কল পেয়েছেন বিদেশ থেকেও ৷ এখন প্রতিদিন প্রচুর ফোনও ধরতে হচ্ছে উন্নিকৃষ্ণণকে দোকান চালানোর পাশাপাশি ৷