বসের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত স্ত্রী! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার চেষ্টা স্বামীর। কিন্তু, তার ফলাফল যে হাজতবাস হতে পারে, সেই মুহূর্তে বোধহয় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেনি। আদালত তাকে ১৩ সপ্তাহের হাজাতবাসের সাজা শুনিয়েছে।
ঘটনাটি সিঙ্গাপুরের। আইনি নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়। গত সপ্তাহেই তাকে সাজা শোনায় আদালত। ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ৩০ বছরের এক মহিলার সঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু, সুখী দাম্পত্যজীবনে হঠাৎ ছন্দপতন। স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান ওই মহিলা। ২০২০ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর বাড়ি যায় এবং টয়লেট ব্যবহার করে।
সেই সময় সে সন্দেহ করে, তার স্ত্রী অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এরপরেই লুকিয়ে স্ত্রীর ফোনে উঁকিঝুঁকি দেয় ওই ব্য়ক্তি। সেখানেই স্ত্রীর সুপারভাইজারের সঙ্গে একাধিক ছবি এবং অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো পায় সে। তার মধ্যে একটি ফুটেজে দেখা যায় সুপারভাইজারের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত স্ত্রী। এমনকী, ওই ফুটেজের কয়েক সেকেন্ড জুড়ে ওই মহিলা এবং তাঁর সুপারভাইজারের মুখ দেখা গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। স্ত্রীকে বসের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সে। এরপর সে স্ত্রীকে ফোন ফেরত দিলেও ওই ভিডিয়ো নিজের কাছে রেখে দেয়। ২০২০ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা নাগাদ স্ত্রীর এই ভিডিয়ো একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করে ওই ব্যক্তি। সঙ্গে লেখে, ‘সকলেই এঁদের দেখতে পারবেন।’
এখানেই শেষ নয়, স্ত্রীর নাম এবং তাঁর পেশাও সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেন ওই ব্যক্তি। এছাড়াও স্ত্রী এবং তাঁর সুপারভাইজারের মধ্যে কথোপকথোনের একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন ওই ব্যক্তি। ওই দিন বিকেল ৪টার মধ্যে প্রায় ২০০০ শেয়ার হয় ভিডিয়োটি। এদিকে, ওই মহিলার স্বামী দাবি করেছেন, তিনি বুঝতে পারেননি ভিডিয়োটি এতটা ভাইরাল হয়ে যাবে। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। এই মামলায় ওই ব্যক্তিকে দোষী সাবস্ত করেছে আদালত এবং ১৩ সপ্তাহের জেলের সাজা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে।