দুই কুকুরের বিয়ে ঘিরে মেতে উঠল গ্রামবাসী। বিহারের মতিহারির মাজুরাহা গ্রামে শুক্রবার রাতে বাসন্তী নামের এক মহিলা কুকুরের সঙ্গে হিন্দু রীতি অনুযায়ী কাল্লু নামের এক পুরুষ কুকুরের বিয়ে হয়। উভয় কুকুরের বিবাহের জন্য একটি মণ্ডপ তৈরি এবং সজ্জিত করা হয়েছিল। ব্যান্ড ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে কুকুরের বরযাত্রীর শোভাযাত্রাও বের করা হয়। বিয়েতে ডিজের তালে তালে মানুষ আনন্দে নাচনাচিও করে।
বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার মতিহারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই অনন্য বিয়ে। যা নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা চলছে। এখানকার মাজুরাহা গ্রামে ধুমধাম করে দুই অবলা পশুর বিয়ে হয়েছিল। শুক্রবার রাতে বাসন্তী নামের এক কুকুরীর সঙ্গে হিন্দু রীতি অনুযায়ী কাল্লু নামের একটি কুকুরের বিয়ে হয়। কিন্তু এই বিয়ের আয়োজন করা হয় কেন সেটি বেশ অদ্ভুত। জানতে পড়ুন বিস্তারিত।
এই অনন্য বিয়েতে উপস্থিত প্রায় ৪০০ জন অতিথির জন্য খাবার ও পানীয়ের যথেচ্ছ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পণ্ডিত ধর্মেন্দ্র কুমার পান্ডে, যিনি এই দুই কুকুরের বিয়ে দিয়েছিলেন, বলেছিলেন যে কুকুর এবং কুক্কুরীর (মহিলা কুকুর) বিয়ে দিতে সকলের উৎসাহিত হওয়া উচিত কারণ তারা ভৈরবের রূপ। এমন বিবাহ করালে জীবনে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায় এবং সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। একই সঙ্গে এই বিয়ের মূল উদ্যোক্তা নরেশ সাহনি বলেন, আমার একটি প্রতিজ্ঞা পূরণ হয়েছে, তাই আমি কুকুর ও কুক্কুরীর বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এই দুটি প্রাণীকে বড় করেছি। আমরা সম্পূর্ণ হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন করব।
কৌতূহলবশত যারাই কাল্লু ও বাসতীর বিয়ের কথা শুনেছে, তারাই তা দেখতে এসেছে। চমৎকার এই বিয়ে নিয়ে গ্রামবাসীরা প্রচুর আলোচনা করছে। তারা বলেন, আমরা আমাদের জীবনে প্রথমবার এই ধরনের বিয়ে দেখেছি, এটা চমৎকার। এমন বিয়ে দেখে খুব ভালো লাগছে।