বিয়ে এক পবিত্র সম্পর্ক। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক জন্ম জন্মান্তরের। কিন্তু বিয়ের নামে কারো কারো কান্ড দেখলে অবাক হতে হয়।
বিহার পুলিশের হাতে এমনই এক লোক ধরা পড়েছে যে এক-দুটি নয়, ১২টি মেয়েকে ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। প্রতিবারই ব্যাচেলর হওয়ার ভান করে নিরীহ মেয়েদের ফাঁসিয়ে ফেলতেন। এক নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের অপরাধে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে।
এই প্রতারককে গ্রেফতারে সফলতা পেয়েছে পূর্ণিয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তের নাম শামশাদ ওরফে মনোভার। সে ছয় বছর ধরে পুলিশ এর চোখকে ফাঁকি দিয়ে আসছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। শামশাদ কোচধামন থানা এলাকার আনারকলি গ্রামের বাসিন্দা। পূর্ণিয়া পুলিশ তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আনগড় থানার বিজওয়ার গ্রামে এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেছিল। অপহরণের এক সপ্তাহ পর পুলিশ কিষাণগঞ্জ থেকে অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করলেও অভিযুক্ত শামশাদ সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গত ছয় বছর ধরে শামশাদকে ধরতে নিরন্তর চেষ্টা চলছিল। নাবালিকা মেয়ের বাবা তার বিরুদ্ধে নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বাহাদুরগঞ্জ থানার কৈডাঙ্গী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে জানা যায়, আসামি এক ডজন মেয়েকে বিয়ে করেছে।
প্রেমের ফাঁদে ফেসে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে সাত স্ত্রী:
অভিযুক্ত শামশাদের সাত স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, সে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। এই মেয়েরা কেউই জানত না যে সে ইতিমধ্যে বিবাহিত। তাদের বক্তব্যের পর শামশাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।