প্রবীণরা বলেছেন, বিয়ে সব সময় উপযুক্ত সঙ্গী বা সমকক্ষের সঙ্গেই করতে হবে। এছাড়াও ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের বিয়ের কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে যেমন বয়সের ব্যবধান ইত্যাদি। কিন্তু কিছু কিছু ব্যতিক্রমও আছে বটে। যেমন কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় মানুষ হয়েও কেউ কেউ বিয়ে করার জন্য শুধু মানুষকেই নির্বাচন করবেন এমনটা নয়, কিছু কিছু মানুষ অন্যান্য প্রানীকেও বিয়ে করতে পারে। এর সর্বশেষ উদাহরণ সাইফুল আরিফ।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/06/IMG-20220611-WA0015.jpg)
হ্যাঁ, ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা ৪৪ বছর বয়সী সাইফুল আরিফ একটি ছাগলের প্রেমে পড়েছিলেন। ভালোবেসে বিয়েও করেছিলেন, তার স্ত্রীর ওই ছাগলের নাম শ্রী রাহায়ু বিন বেজো। এখন এটা অবশ্য জানা নেই যে ছাগলটিও তাকে ভালোবাসতো কি না। কিন্তু ছাগলকে নিকাহ করার ঘোষণা করেন সাইফুল। এ জন্য তিনি ছাগলকে যৌতুকও দেন। এই যৌতুক ধার্য ছিল ১১৭ টাকা। তবে বিষয়টি অনেকেই পছন্দ করেননি। এই নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকে এবং সাইফুলকে শেষমেশ ক্ষমা চাইতে হয়।
অদ্ভুত এই ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার গ্রেসিক শহরের। জানা গিয়েছে সাইফুল একজন ইউটিউবার। একদিন কোথাও তার নজরে পড়ে এই ছাগলটি। ছাগলটি ইন্দোনেশিয়ার বেনজেং জেলার ক্ল্যাম্পক গ্রামে ছিল। তার নাম রাহু বিন বেজো। এই ছাগলটিকেই নিকাহ পাঠের অধীনে ছাগলকে বিয়ে করেন সাইফুল। এতে ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায় ২২ হাজার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১১৭ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
এই বিয়েতে ছাগলটিকে কনের সাজে সাজানো হয়েছিল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন এবং বরের পোশাকে বিয়ে করতে উপস্থিত ছিলেন সাইফুলও। কিন্তু বিষয়টি লোকমুখে প্রচার পেলেই লোকজন হৈচৈ শুরু করে। হট্টগোল বাড়তে থাকে সাইফুল ক্ষমা চান। এবং বলেন এই ছাগলের সাথে সম্পর্ক নেই। সেই বিষয়টিই তিনি অবশেষে সকলকে জানান। নিজের এই কাজের পেছনে অজুহাত দেখিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়ার জন্য এই কাজ করেছেন। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে তার স্ত্রী ছাগলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না।