বেশিরভাগ মানুষেরই বাইক কেনার প্রবল ইচ্ছা থাকে, সাধারণত ছেলেদের মধ্যে এই ইচ্ছাটা সব থেকে বেশি থাকে। কেউ পরিবারের কাছে টাকা চেয়ে বাইক কেনেন অথবা নিজের উপার্জনের টাকায় ধীরে ধীরে জমিয়ে বাইক কেনেন। তেমনই এক বাংলাদেশের যুবকরও দীর্ঘদিন ধরেই বাইক কেনার শখ ছিল।
যদিও বাইক কিনতে গিয়ে সে এরকম একটা কাজ করে ফেলবে তা জানার পর হতবাক সকলেই। বেশ বহুকাল ধরেই খন্দকার সাকিব সাদমান বাইক কিনবেন ভেবে রেখেছিলেন, তবে যে বাইক কিনবেন ভেবেছিলেন তা কিনতে যত টাকার প্রয়োজন ছিল তা কোনোমতেই জোগাড় করতে পারছিলেন না।
তারপরই অঘটন তা ঘটালেন, তার দুই বন্ধুর বুদ্ধি শুনে নিজের প্ৰিয় মানুষ, নিজের প্রেমিকাকেই বিপদে ফেলে দিলেন। বন্ধুদের কুবুদ্ধিতেই বাইক কেনার টাকা জোগাড় করতে নিজের প্রেমিকাকেই অপহরণ করে তার বাড়ি থেকে মুক্তিপন দাবী করলো। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক মুক্তিপন হিসেবে প্রায় লাখ তিনেক টাকা দাবী করেছেন প্রেমিকার বাবার কাছে। পুলিশের তরফ থেকে এর মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ওই মেয়েকে।
ঢাকার মুগদা এলাকায় গত ২৭শে মার্চ ওই মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়। তারপর দিন অর্থাৎ ২৮ মার্চ মুগদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই অপহৃত মেয়েটির মামা। মেয়েটির মামার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই সাথে সাথেই তদন্ত শুরু করে দেয় সাইবার অ্যান্ড স্পেশ্যাল ক্রাইম বিভাগ।
ওই যুবতিকে সেই দিনই পুলিশ উদ্ধার করেছে মুগদার কাঠপোল এলাকা থেকে। সাদমানকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। আশরাফ উল্লাহ স্পেশ্যাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, “মেয়েটিকে অপহরণের ষড়ষন্ত্র করেছিল সাদমান ও তাঁর দুই বন্ধু মিলে। বাইক কেনা যেমন একটা কারণ আবার তাদের ঋণ মেটানোর চিন্তাও ছিল তাদের।” পুলিশের জেরায় সাদমান নিজেই বলেছেন যে , পড়াশোনা শিখেছে সে, বন্ধুদের কুবুদ্ধিতেই সে এই কান্ড ঘটিয়েছেন। সে মাদকাশক্তির কথাও জানিয়েছে পুলিশের জেরায়। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, মেয়েটি নিজেও সাদমান ও তার বন্ধুদের পরিকল্পনা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি। ফোন করে তাকে দেখা করার কথা বলেছিলেন সাদমান। মেয়েটি কলেজ যাচ্ছিলেন বলেছিলেন বাড়িতে আর সে কথা বলে দেখা করতে গেছিলেন সাদমানের সাথে। আর তখনই তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।