মাকে নিজের সাথেই রাখতে চান এই ব্যক্তি। মায়ের মৃত্যু হলেও তার পার্থিব অবশিষ্টকে যেতে দিতে চাননি। আর তাই মা মারা গেলে তাঁর দেহ একটি জলের ড্রামের ভেতরে ঢুকিয়ে সিমেন্ট-বালি ব্যাবহার করে গেঁথে দিলেন ছেলে। রীতিমত শিউরে দেওয়ার মতন এই ঘটনাটি তামিলনাড়ুর।
পুলিশ সূত্রে খবর সেই রাজ্যের নীলঙ্করাইয়ের একটি বাড়িতে সিমেন্ট কংক্রিট দিয়ে গাঁথা একটি জলের ব্যারেল থেকে ৮৬ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত মহিলা ৮৬ বছর বয়সী। নাম সেনবাগাম। তিনি নীলঙ্করাই এর সরস্বতী নগরের বাসিন্দা। স্বামীর মৃত্যুর পর, তিনি তার দ্বিতীয় ছেলে সুরেশ (বয়স ৫৬ বছর) এর সাথে বসবাস করছিলেন। মানসিক ভারসাম্যহীন সুরেশ এর তার স্ত্রী ও সন্তানদের থেকে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সেনবাগমকে বারান্দায় বসে থাকতে দেখত প্রতিবেশীরা। কিন্তু প্রতিবেশীরা অনেকদিন তাকে দেখতে পাচ্ছিলেন না। তাই তারা পেরুংগুড়িতে থাকা সুরেশের ভাই বাবুকে ডেকে পাঠায়। বাবু সুরেশকে তার মা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করে। বাবু পীড়াপীড়ি করলে, সুরেশ তাকে জানায় যে সেনবাগম দুই সপ্তাহ আগে মারা গেছে। আরো বলে মা যখন বেঁচে ছিল কেউ খোঁজ নেয় নি তাই মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর মৃতদেহের কি হবে সেটাও সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরই সে নিজের ভাই বাবুকে একটি ড্রাম বা ব্যারেল দেখায়। এবং বলে সে মায়ের মৃতদেহ একটি ব্যারেলে রেখে সিমেন্ট কংক্রিটে গেঁথে দিয়েছে।
এতে হতবাক হয়ে বাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। পুলিশ এসে ব্যারেলের কংক্রিট ভেঙ্গে মায়ের মৃতদেহ দেখতে পায়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি রায়পেট্টা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে এই ঘটনায়।