শুক্রবার পয়লা এপ্রিল বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়। নেপথ্যে যে কারণ অনুমান করা হচ্ছে তা বেশ মর্মান্তিক। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি বহুদিন ধরে নিজের ওজন কম করার অনেক রকম চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোন চেষ্টাই কাজে না লাগলে মানসিক অবসাদে ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন তিনি। সকালের দিকেই এই মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। তার এমন চরম পদক্ষেপে পরিবারে শোকের ছায়া।
জানা গেছে ওই প্রৌঢ় ব্যবসায়ীর নাম মুকেশ খেমখা। লাউডন স্ট্রিটের বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সংসার তার। আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সাথে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে অনেকদিন ধরেই শরীরের মেদ ঝরিয়ে রোগা হতে চেষ্টা করছিলেন তিনি। তার ওজন প্রায় ১১৫ কেজি ছুঁয়ে ফেলেছিল। তাই বাড়তি ওজন ঝরাতে ভীষণভাবে সচেষ্ট ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ভাবে কাজে আসছিল না কোন পদ্ধতিই। ওজন কমাতে অসফল হয় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এমনটাই জানা গেছে তার পরিবার সূত্রে। কিন্তু এই আত্মহননের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অন্য কিছু বলছে। মিডিয়া রিপোর্টস অনুযায়ী পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানাচ্ছে যদিও ওজন কমানোর জন্য অনেক কসরত করছিলেন তিনি কিন্তু আত্মহননের পদক্ষেপ ওঠার পেছনে আছে ব্যবসায় মন্দা।
লাউডন স্ট্রিটের যে আবাসনে ওই ব্যবসায়ী থাকতেন সেই আবাসনের ১১ তলা থেকে সকাল ছটা নাগাদ ঝাঁপ দেন তিনি। তিনি মাটিতে আছড়ে পড়লে প্রচন্ড শব্দ হয় যার জেরে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। তাঁরা এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন মুকেশ নামক ওই ব্যবসায়ী! দ্রুত তারা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে যান হাসপাতালে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মুকেশ খেমকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খবর যায় পুলিশের কাছে। আপাতত যা জানা গেছে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে কোন সুইসাইড-নোট অবশ্য পাওয়া যায়নি।