উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে (Uttar Pradesh Fatehpur) এক যুবক প্রতিবেশী এক বিবাহিত মহিলাকে প্রলুব্ধ করে দিল্লি নিয়ে যায়। অভিযোগ তাকে দিল্লীতে নিয়ে গিয়ে তার ধর্ম পরিবর্তন করা হয়। শুধু তাই নয় এরপর তিনি ওই নারীকে মুসলিম মতে বিয়ে করেন। অন্যদিকে, মহিলার স্বামী স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করে পুলিশের কাছে। অভিযোগ পেয়ে মহিলাকে খুঁজতে খুঁজতে দিল্লি পৌঁছেয় পুলিশ। পুলিশ অবশেষে তাদের দুজনকেই ফিরিয়ে আনে। এরপর ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে হয়েছে বলে জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে সেখান থেকে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী,ফতেহপুরে জেলার লালাউলি থানা এলাকার বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী হাসান মোহাম্মদ ওরফে মনু পাড়ার এক মহিলাকে প্রলুব্ধ করে গত ১৭ই মার্চে নিজের সঙ্গে দিল্লিতে নিয়ে যায়। বিবাহিত ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে গাজিয়াবাদে পৌঁছে তার ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়। এরপর হাসান মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন। তারপরে দুজনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। মহিলার স্বামীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকেই খুঁজতে খুঁজতে দিল্লি পৌঁছলে ধরা পড়ে তারা।
পুলিশ দুজনকেই নিজের সঙ্গে ফেরত নিয়ে আসেন। ফিরে এসে দেখা যায়, বিবাহিত ওই তরুণীকে ধর্মান্তরন করে বিয়ে করেছেন ওই যুবক। এরপর স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই মহিলার স্বামী। পুলিশ তাৎক্ষণিভাবে এই ঘটনায় 386, 506, 3/5 (1) ধারায় মামলা দায়ের করে এবং অভিযুক্ত যুবককে আটক করে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে আদালতে হাজির করে। অভিযুক্ত যুবককে বর্তমানে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
অতিরিক্ত এসপি রাজেশ কুমার জানান, এক অভিযোগে জানা গেছে লালাউলি থানা এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি পাড়ার এক বিবাহিতা মহিলাকে প্রলুব্ধ করে দিল্লিতে নিয়ে যায় এবং ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করে। এরপরই তল্লাশিতে দিল্লি পৌঁছে যায় পুলিশ। দুজনকেই সঙ্গে নিয়ে আসেন।আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিচার চলছে।