দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড গোটা বিশ্বে খুব জনপ্রিয় একটি জায়গা। শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক কারণেই নয়। পর্যটকদের কাছে এই জায়গাটি জীবন যাপন এবং আরও অন্যান্য আকর্ষণীয় কারণে জনপ্রিয়। অনেকেই এই দেশে ঘুরতে আসেন কয়েক দিনের মজা করতে। এদেশের যৌনপল্লির টানে প্রায়ই এখানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। বেশ কদিন আগে এক পর্যটক পাটায়া এসেছিলেন। ওই শহরেরই এক যৌনপল্লির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ওই পর্যটকের সাথে এক যৌনকর্মী এমন কান্ড করেছেন, যা সত্যিই অবাক করবে। প্রচন্ড জলঘোলাও হয়েছে এই নিয়ে।
একটি হুদখোলা বাসে করে ওই পর্যটক ঘুরছিলেন সেখানে। যখন ওই বাসটি যৌনপল্লির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল সে সময় ওই যৌনকর্মী উঠে পড়েন ওই বাসে। সেখানকার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় থাকা ওই যৌনকর্মী রীতিমতো টলছিলেন। সেসময় ওই বাসে বসে থাকা ওই পর্যটকের কানের লতি কামড়ে ধরেন তিনি। কানের লতি কামড়ে ধরে রীতিমতো কেটে দেন।
যন্ত্রনায় চিৎকার করে ওঠেন ওই পর্যটক। অন্য যাত্রীরা সেই চিৎকার শুনে তাকান পিছনে। অভিযোগ যে তখন ওই যৌনকর্মী ওই ব্যক্তির কানের লতি কামড়ে খেয়ে নির্বিকার অবস্থায় বসে ছিলেন। তারপরই পুলিশকে এই ঘটনা জানায় বাসের কর্মীরা। পুলিশ এসে ওই অভিযুক্ত যৌনকর্মীকে গ্রেফতার করেন। এরপর ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সাইজাই কামাচুলা নামের এক পুলিশ অফিসার ঘটনা নিয়ে বলেছেন, “ মত্ত অবস্থায় ছিলেন ওই মহিলা। বাধা দেন তিনি পুলিশ ধরতে গেলেও। লাথি মেরে পুলিশকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে আটক করে আরও পুলিশ কর্মীরা এসে।”
জানা গিয়েছে, কাননিকা কামতন ওই মহিলা যৌনকর্মীর নাম। ২৫ বছরের ওই যৌনকর্মী একটি ক্লাবে যৌন পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অবশ্য পাটায়া শহরকে ‘সেক্স ক্যাপিটাল অব ওয়ার্ল্ড’ বলা হয়ে থাকে। ওই শহরে যৌন ব্যবসা এবং এই ক্লাবে যৌনব্যবসা অবাধে চলে।