আজকাল বডিবিল্ডিং একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীই ভালো শরীর তৈরির উন্মাদনায় থাকে এবং এর জন্য অনেকেই জিমে যায়। জিমে প্রতিনিয়ত গা ঘামালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এমনটা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলে। কিন্তু আজকাল অনেকেই শর্টকাট পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায়। একদম সিনেমার হিরোর মতন নিখুঁত বডি পেতে নানা সাপ্লেমেন্ট, ওষুধপত্র প্রয়োগ করে। এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সাবধান করে না জেনে বুঝে এসব জিনিসের যথেচ্ছ ব্যবহার না করতে। কিন্তু ইদানিং জিমের পাশাপাশি শরীর তৈরী করার জন্য বাজারে এসেছে নানা ধরনের সাপ্লিমেন্ট, প্রোটিন ও ওষুধ-ইনজেকশন। যার ব্যবহার আজকালকার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় জিম প্রশিক্ষকের দ্বারা সেগুলি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সেগুলি কতটা মারাত্মক তার একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে, যেখানে একজন যুবক জিম প্রশিক্ষকের পরামর্শে একটি ভাল বডি পেতে তার নির্দেশিত ইনজেকশন নিয়েছিলেন। এরপরই ওই যুবকের গোপনাঙ্গে সমস্যা শুরু হয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ইন্দোরের এমআইজি থানা এলাকার। এখানকার একজন জিম প্রশিক্ষক ২০ বছর বয়সী এক যুবককে পেশী ফোলানো এবং স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য একটি ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং সেই যুবকটি সেই ইনজেকশনটি নিয়েও নেন। ওই যুবক যে ইনজেকশন নিয়েছিলেন তা অবশ্য ড্রাগ কন্ট্রোলার দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাও ওই যুবক ইঞ্জেকশনটি নিয়ে নেন। কিন্তু এরপরই ওই যুবকের গোপনাঙ্গে সংক্রমণ দেখা দেয়।
ওই যুবক থানায় মামলা করেছেন:
তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ ইনজেকশন নেওয়ার পর থেকেই ওই যুবকের গোপনাঙ্গে জ্বালাপোড়া শুরু হয় এবং টয়লেটে যেতে সমস্যা হতে থাকে। এতে ওই যুবক শারীরিকভাবে ভয়ঙ্কর সমস্যার শিকার হন। বিরক্ত হয়ে তখন তিনি থানায় গিয়ে জিম প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভুগী ওই জানিয়েছেন, ইনজেকশনের বিনিময়ে অভিযুক্ত জিম প্রশিক্ষক তার কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পুলিশ এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।