মহিলার সাথে বন্ধুত্ব এক মেসেজিং সাইটের মাধ্যমে। আর এরপরই আহমেদাবাদের এক যুবক সেই প্রেমিকার ডাকে সারা দিয়ে পড়লো বিপদে। ওই বছর ত্রিশের যুবককে হানিট্র্যাপ করে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হল।
পুলিশ জানিয়েছে , আমদাবাদের আসারওয়াতে একটি দোকান চালাতেন প্রতারিত ওই যুবক। বেশ কদিন আগে এক মেসেজিং সাইটের মাধ্যমে পরিচয় হয় এক মহিলার সাথে। তারপর দুজনে ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসআপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন। ঘনিষ্টতা বাড়ে দিনের পর দিন। প্রেম হয়, সে প্রেমের গভীরতাও বাড়তে থাকে। এরপর এক দিন কিছু ক্ষণের জন্য দেখাও করে আসেন যুবক প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে।
তারপর আচমকাই একদিন তাঁর প্রেমিকা তাকে জানান, যে ওর স্বামী সুরত যাবেন কিছু দিনের জন্য এবং বাড়িতে তিনি একাই থাকবেন। যুবককে ওই মহিলা নিজের বাড়িতে আসার জন্য আহ্বান করেন। ওই যুবক মহিলার বাড়িতে পৌঁছনোর পর শারীরিক সম্পর্ক হয় তাঁদের মধ্যে। এর পর তাঁদের ঘরে হঠাৎই দু’জন ঢুকে পড়েন। মারধরও করেন তাঁরা ওই যুবককে। কিছু ক্ষণ পর তৃতীয় এক ব্যক্তিও নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে সেখানে এসে উপস্থিত হন। যুবক পুরোপুরি বুঝতে পারেন যে ওই মহিলাও যুক্ত এই ঘটনায়। এরপর ওই বাকি লোকজন এবং ওই মহিলাকে ধর্ষণের দায় দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করতে থাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের কাছে এর পর কিস্তিতে কিস্তিতে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর ওই অভিযুক্তরা যুবকের থেকে আরও টাকা দাবি করলে তিনি চন্দ্রখেদা থানায় অভিযোগ জানান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।