তালিবান ক্ষমতায় আসতেই তালিবানের নানা নৃশংসতার ছবি স্পষ্ট। যবে থেকেই তালিবান মাথা চাড়া দিয়েছে সাথে সাথেই। শুরু হয়েছে নানা রকম অত্যাচার এর কাহিনী। এতদিন কাবুল বিমানবন্দর থেকে গিয়েছিল মার্কিন সেনা। বিমাবন্দর আর এরোপ্লেন ইত্যাদির রাশ ছিল তাদের হাতেই। কিন্তু মার্কিন সেনা সরতেই সেই সব কিছুর রাশ চলে গেল তাদের হাতে।সূত্রের খবর, তালিবান গোষ্ঠীর স্পেশাল ফোর্স হিসেবে পরিচিত “বদরি ৩১৩” ইউনিট বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিয়েছে।বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিলই, এই অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, চপার তালিবানের মত ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন এর হাতে আসলে, তার পরিণাম কি হতে পারে? কারণ, এমনিতেই দাবি উঠেছে, যে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র ও আধুনিক সরঞ্জাম তালিবানের কব্জায় এসেছে তার পরিণতি কী? সেই আশঙ্কাই কিছুটা সত্যিই হল।
২৪ ঘন্টাও হয়নি আমেরিকার শেষ সেনাবাহিনীর মানুষ দেশ ছেড়েছে, এর মধ্যেই কান্দাহারের আকাশে উড়তে দেখা গেল আমেরিকান ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার (UH-60 Black Hawk)। তার থেকেও ভয়ঙ্কর যে ঘটনা সেই উড়ন্ত হেলিকপ্টার থেকে দড়ি বেঁধে ঝুলতে দেখা গেল একজন মানুষকে। আফগানিস্তানে আরও একবার সামনে এল তালিবানের বর্বরতার আরেকটি নিদর্শন। রীতিমত গা শিউরে দেওয়ার মতন করা সেই ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা আবারও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হল একটুও বদলায়নি তালিবান। নিন্দার ঝড় দুনিয়া জুড়ে।
কিন্তু কেন এমনটা করা হল? কোনো ভাবে তালিবানের বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য বা আমেরিকা সেনার সাহায্য করার জন্য শাস্তি স্বরূপ সেই ব্যাক্তিকে হেলিকপ্টারে বেঁধে আকাশে ঘোরানো হল। মনে করা হচ্ছে, তারা দেশবাসীর সামনে উদাহরন প্রতিষ্ঠা করতে চায় যে তাদের বিপক্ষে গেলে তারা কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। কান্দাহারবাসীকে তা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যই সম্ভবত স্বমূর্তি ধরেছে তালিবান।
শুধু এই নয়, আফগানিস্তান ছেড়ে মার্কিন সেনা নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার পরই খুনের হুমকি দিয়ে সাধারণ আফগানীদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো শুরু করেছে তালিবানরা। একাধিক জায়গায় পোস্টারও পড়েছে। আমেরিকার সেনা বা পূর্ববর্তী আফগানিস্তানের সরকার বা সেনাকে একসময়ে যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল তাদের বাড়িতে ওই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যাতে স্পষ্ট হুমকি, ‘আত্মসমর্পণ কর, নাহলে খুন করা হবে।’