উত্তরপ্রদেশের পিলিভীতে একটি বিয়ে এই মুহূর্তে সারা দেশে বেশ চর্চিত হচ্ছে। কারণ সেখানে কারাগারে থাকা এক বন্দি বিয়ে করতে ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে বেরিয়ে আসেন। আদালতের আদেশের পর বন্দি ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোল পান। এরপর পুলিশ হেফাজতে থাকা বন্দি প্যারোলে বেরিয়ে এসে তার কনেকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বর কনেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রেখে পুনরায় কারাগারে চলে যান। আসলে, শাহজাহানপুর জেলার নিগোহি থানা এলাকার বাসিন্দা অমিত কুমারের সঙ্গে পিলিভীতের এক তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল।
দুজনের দেখা শুরু হয় এবং কথাবার্তা বাড়তে থাকে। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কয়েকদিন পর যৌতুকের দাবিতে যুবক ও তরুণীর মধ্যে ঝগড়া হয় এবং ওই তরুণী তার নিজের বাগদত্তার বিরুদ্ধে যৌতুক আইনসহ জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
স্ত্রী শুধু স্বামীকে কারাগারে বন্দী করে:
মামলা নথিভুক্ত করার পর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অমিতকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠালেও দুজনেরই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের তারিখও ইতিমধ্যে ঠিক করা হয়েছিল, কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে যায় সোনমের বাড়ির লোকজন। অপরদিকে কারাগারে যাওয়ার পর ছেলের পরিবারের লোকজন তরুণীর বাড়ির লোকের কাছে গিয়ে তরুণীর সঙ্গে অমিতকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এরপর ২৩ আগস্ট বিয়ের বিষয়টি স্থির হয়।
যার জেল হয়েছে তাকেই বিয়ে করেছে:
উভয় পক্ষ আদালতে গিয়ে হলফনামা দাখিল করে এবং মীমাংসার পর অভিযুক্ত মেয়েটিকে বিয়ে করার আবেদন জানায়। এরপর শুনানি চলাকালীন আদালত ছেলেটিকে ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোল মঞ্জুর করেন এবং তাকে পুলিশ নজরদারিতে বিয়ে করে আদালতে প্রমাণ দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ হেফাজতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এমন অভিনব ভাবে পুলিশ হেফাজতের মধ্যে এই জেলে বন্দী বরের বিয়ে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
একই সঙ্গে কনের পক্ষ থেকে যে চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে তিনি লিখেছেন, শাহজাহানপুরের অমিত কুমারের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে কয়েকদিন আগে। পারিবারিক কলহের কারণে পারস্পরিক মতভেদ দেখা দিলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে তাকে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু এখন পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী তারা বিয়ে করতে চলেছে।